কলকাতায় কারা ছড়িয়েছে করোনা? নয়া দাবি প্রশাসক ববির

কলকাতায় কারা ছড়িয়েছে করোনা? নয়া দাবি প্রশাসক ববির

c0073a360b0bfaf0efa43c6f9f22f657

কলকাতা: সংক্রমণের হার কমেছে৷ কিন্তু তা বলে যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে এমন কথাটা মোটেও বলা যায় না৷ সংক্রমণ এখনও অনিয়ন্ত্রিত ভাবেই ছড়াচ্ছে কলকাতার বুকে৷ আর সেটা রাজ্য সরকারের কাছে বড় মাথা ব্যাথারও কারণ৷ এবার এই সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে ক্যাব চালক আর লরি চালকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা শহরের প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷

কলকাতার বুকে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁই ছুঁই। আর এই সংক্রমণ ছড়ানোর পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ক্যাব চালক ও লরি চালকদের। অন্তত এমনটাই মনে করেন ফিরহাদ। রবিবার তিনি জানান যে, ‘বেলগাছিয়া, রাজাবাজার এলাকায় প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ওলা-উবের চালকদের মাধ্যমে। এরা বিমানবন্দর থেকে যাত্রী তুলতেন। বিদেশ থেকে আসা একাধিক যাত্রীদের থেকে সংক্রমিত হয়েছেন চালকরা। তারপর তাঁরা বেলগাছিয়া, রাজাবাজারের মতো ঘিঞ্জি-ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাড়িতে ফিরেছেন। সেখান থেকেই শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়েছে করোনা। বড়বাজারে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে ট্রাকচালক ও খালাসিরা। তাঁরা ভিনরাজ্য থেকে সংক্রমিত হয়ে এ রাজ্যে এসেছেন।’

ফিরহাদের এহেন মন্তব্যের পরে এখন শহরে ক্যাব পরিষেবা কতটা স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ ১৭ মে লকডাউন উঠলেও মানুষ ভয়ে আর ক্যাব পরিষেবা ব্যবহার করবেন কিনা তা নিয়ে কিন্তু জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আবার বড়বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যাবশক পণ্য আসা ও লোডিং আনলোডিং নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারে আসা সব লরি আর চালকদের এবার থেকে শহরে ঢোকার আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতে পারে, নবান্নের তরফে সবুজ সঙ্কেত এলেই তা শুরু করে দেওয়া যাবে। আবার ১৭ মে’র পরে যদি ক্যাব চালানো শুরুও হয় তাহলে ক্যাব চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যেমন জোর দেওয়া হবে তেমনি ক্যাব স্যানিটাইজেশনের ওপরেও জোর দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *