কলকাতা: প্রাথমিকে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ আসে। যাদের চাকরি বাতিল হয়েছিল তারা আদালতের কাছে নিজেদের বক্তব্য রাখার সুযোগ পায়। তখনই এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছিল। এক চাকরিপ্রার্থী দাবি করেছিল যে, তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল ‘পর্ষদ’ থেকে এবং বলা হয়েছিল, তিনি যেন পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে দেখা করে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করেন। এই দাবির পরেই বিষয়টি সিবিআইকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এখন জানা গেল, কে ফোন করেছিলেন।
আরও পড়ুন- অবশেষে মিলছে চাকরি! ৬৫ জন ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দিতে ডাকল এসএসসি
প্রাথমিকে দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে যে কে ফোন করেছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ফোন এসেছিল নদিয়া জেলার প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রমা প্রসাদ রায় চৌধুরীর কাছে থেকে। সিবিআই এও জানিয়েছে, ফোন গিয়েছিল পর্ষদের অফিস থেকেও। আসলে প্রাথমিকে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের মধ্যে শিল্পা চক্রবর্তী নামের একজন প্রার্থী আদালতে দাবি করেছিলেন যে, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি ফোন তার কাছে আসে এবং তাঁকে বলা হয় পর্ষদের অফিস থেকে ফোন করা হয়েছে এবং তিনি যেন পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখা করে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”কলকাতায় মানবাধিকার কর্মীরা, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ! Human Rights officials in Kolkata” width=”835″ height=”480″ frameborder=”0″>
এই ইস্যুতেই তদন্তের পর সিবিআই জানিয়েছেন, ওই প্রার্থীকে নথি নিয়ে আসতে বলা হয় পর্ষদের অফিস থেকে। এরপর ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ইন্টারভিউ হয়। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে এই বিষয়ে দু’সপ্তাহ পর বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছে।