সাদা, কালো না গোলাপি? কোন নুনের কী উপকার জানুন

কলকাতা: রান্নায় নাম মাত্র ব্যবহার। কিন্তু, বেশি বা কম হলেই বিপদ! পুরো রান্না তখন ফিকে হয়ে যায় নুনের গুণে। এহেন প্রয়োজনীয় জিনিস যে শুধু রান্নায়…

কলকাতা: রান্নায় নাম মাত্র ব্যবহার। কিন্তু, বেশি বা কম হলেই বিপদ! পুরো রান্না তখন ফিকে হয়ে যায় নুনের গুণে। এহেন প্রয়োজনীয় জিনিস যে শুধু রান্নায় স্বাদ এনে দেয় তা কিন্তু নয়, এর আরও গুণ রয়েছে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা! নানা সমাধানে কাজ করে নুন। তবে বাজারে নুনের একাধিক প্রকারভেদ রয়েছে।

 

বাঙালি বাড়িতে নুন বলতে সাদা চকচকে প্যাকেটজাত নুনেরই চল বেশি। রান্নায় হোক কিংবা স্যালাড বা ফলের উপর সাদা নুন ছড়িয়ে খেতেই বেশি অভ্যস্ত সকলে। তবে নুনের রয়েছে আরও প্রকার। সাদা, গোলাপি, কালো এক এক রঙয়ের নুনের এক এক গুণ। কোন নুনের কী গুণ? জেনে নিন।

 

টেবিল সল্ট: সব থেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে এই নুন। মাটির নিচে থাকা খনিজ থেকেই তৈরি হয় টেবিল সল্ট। মাটির তলা থেকে খনিজ বার করে ফিল্টার করা হয়। তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় আয়োডিন। তারপরেই তৈরি হয় টেবিল সল্ট। এতে কোনপ্রকার দূষিত কিছু নেই এবং এটি দানাও সূক্ষ্ম ঝড়ঝড়ে। অনেক প্রক্রিয়াকরণের পর এটি প্রস্তুত করা হয়। থাইরয়েডের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এই নুন। তবে এই নুনের অত্যধিক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

সৈন্ধব লবণ: নুনের এই ধরণকে বিশ্বের সবচেয়ে পরিষ্কার ধরা হয়। এই ধরণের নুন পাহাড়ের ভিতর মাটি বা পাথর খুড়ে নিয়ে আসা হয়। মূলত, হিমালয়ের পাদদেশেই পাওয়া যায় এই নুন। এর স্বাদ অন্যান্য নুনের স্বাদের থেকে একেবারে আলাদা। এই নুনে জ়িঙ্ক, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ়ের মতো খনিজ উপদান অনেক বেশি মাত্রায় থাকে। এ সব খনিজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান। ফলে এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যাকটিরিয়াজাত সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে হাড় মজবুত হয়।

বিটনুন: এই নুনও পার্বত্য অঞ্চল থেকে আনা হয়। এই নুনও বিশুদ্ধ নুন। এর মধ্যেও রয়েছে নানা খনিজ পদার্থের গুণ। এই নুন তৈরিতে অনেক ধরনের মশলা, বীজ এবং গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়। পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যায় ওষুধ হিসাবে কাজ করে বিট নুন।

গোলাপি নুন: গোলাপি নুন বা হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট। এই লবণ হিমালয়ের পাদদেশের কাছে পাকিস্তানের অঞ্চলে পাওয়া যায়। এই লবণ কম পরিশোধিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নেই। এটি একটি প্রাকৃতিক লবণ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নগণ্য। এতে প্রায় ৮৪টি প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে গোলাপি লবণ। এই নুন দিয়ে রান্নাও করতে পারেন। এটি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।