কোথায় গেল ভূত? অবশেষে ‘ঘোস্ট ট্যুরিজমে’র পর্দাফাস স্থানীয়দের

পুরুলিয়া: বেগুনকোদর স্টেশনে ভূত দেখাতে পারলো না সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা নেটিজেনদের একাংশ৷ কলকাতার কিছু লোকজন ‘ঘোস্ট ট্যুরিজম’ নামে কিছু মানুষকে উৎসাহিত করেছিল ভূতচতুর্দশীর রাতে বেগুনকোদর স্টেশনে ভূত দেখাবে বলে৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয়রা ও বিজ্ঞান মঞ্চ৷ সতর্ক ছিল পুলিশ৷ গত কয়েকদিন ধরে ভূত দেখানোর নাম করে সাধারণ মানুষকে যেভাবে আহবান জানানো হচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়,

কোথায় গেল ভূত? অবশেষে ‘ঘোস্ট ট্যুরিজমে’র পর্দাফাস স্থানীয়দের

পুরুলিয়া: বেগুনকোদর স্টেশনে ভূত দেখাতে পারলো না সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা নেটিজেনদের একাংশ৷ কলকাতার কিছু লোকজন ‘ঘোস্ট ট্যুরিজম’ নামে কিছু মানুষকে উৎসাহিত করেছিল ভূতচতুর্দশীর রাতে বেগুনকোদর স্টেশনে ভূত দেখাবে বলে৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন স্থানীয়রা ও বিজ্ঞান মঞ্চ৷ সতর্ক ছিল পুলিশ৷

গত কয়েকদিন ধরে ভূত দেখানোর নাম করে সাধারণ মানুষকে যেভাবে আহবান জানানো হচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাকে চ্যালেঞ্জ করে বিজ্ঞান মঞ্চ আগেই ঘোষণা করেছিল, ভূত দেখাতে পারলে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে৷ আর না পারলে গ্রামবাসীদের কাছে এসে ক্ষমা চাইতে হবে৷ এবং ৫ হাজার টাকা দিতে হবে গ্রামবাসীদের৷ স্থানীয়রা বেগুনকোদর স্টেশন চত্বরে এই অপপ্রচার ও গালগল্পের সরব হয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন৷ লেখা হয়, কেউ ভূত দেখার নাম করে বেগুনকোদর স্টেশনের কাছে আসবেন না৷ ভূত বলে এখানে কিছুই নেই৷

শনিবার সারারাত স্থানীয়রা রাত পাহারাদেন৷ যাতে অবাঞ্চিত কেউ পুরুলিয়ার মুরি রেলপথের বেগুনকোদর স্টেশন চত্বরে না আসতে পারেন, বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা হাজির ছিলেন স্টেশনে৷ জেলা সম্পাদক নয়ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ভূত দেখানোর জন্য৷ কিন্তু তাঁদের সেই চ্যালেঞ্জ সামনে এসে কেউ ভূত দেখাতে আসেনি৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, অপপ্রচার চালিয়ে কেউ কেউ এই স্টেশন তুলে দিতে চাইছে৷ আবার কলকাতার কিছু ট্যুরিজম সংস্থা ঘোস্ট ট্যুরিজমের নামে পয়সা রোজগারের জন্য এই স্টেশনের নাম ব্যবহার করে আসছে৷ এটা নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক৷

১৯৬০ সালে পুরুলিয়ার থানার বেগুনকদর গ্রামের অদূরে স্টেশন তৈরি হয়৷ ওই বছর স্টেশন ম্যানেজার ও তাঁর স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়৷ এরপর থেকে নাকি স্টেশনে ট্রেন এলেই আর্তনাদ ও ছায়ামূর্তি ভেসে আসতে থাকে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ এমনকি স্টেশনের এলাকার ছায়ামূর্তি ভেসে বেড়ায়৷ ২০০৬ সালে সাল নাগাদ আবার ওই স্টেশন চালু করার প্রক্রিয়া করা হলেও কোনও ট্রেন স্টেশনে থামত না৷ বছর দু’য়েক আগে থেকেই প্রশাসন ওই স্টেশন থেকে রাত জাগার অভিযান শুরু করে৷ সেই সময় থেকে হাতেগোনা কয়েকটি ট্রেন থামে বেগুনকোদর স্টেশন৷২০১৭ সালের স্টেশনে রাত জাগেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা৷ তাদের দাবি, ভূত বলে কিছু নেই৷ ভূতের গুজব ছড়ানো হয়৷ ‘ঘোস্ট স্টেশন’ নাম করে এক প্রকার ব্যবসা চালানো হচ্ছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *