কাঁথি: তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কে আগামী দিনে দেশের শাসনভাবের দখল নেবে, কে হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর হলদিয়া শহিদ স্মরণে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন।
তিনি তার বক্তব্যে দাবি করেছিলেন, ‘‘স্যান্ডো গেঞ্জির যেদিন পকেট হবে, সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন৷’’ শুভেন্দু অধিকারী এহেন বক্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাঁথি সাংগঠনিক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “যেদিন হাতি জাঙ্গিয়া পরবে, সেদিন শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী হবেন!’’
স্বাভাবিকভাবেই কটাক্ষ পাল্টা কটাক্ষকে ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর কাঁথি শহরে উচ্ছ্বাস দিবসের ডাক দিয়েছেন যুব তৃনমূলের নেতৃত্বরা। ওই দিন কাঁথি মেচেদা বাইপাস থেকে কলেজ মাঠ পর্যন্ত ডিজে বাজে উল্লাস করবে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘গাদ্দারে’র বর্ষপূর্তি হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস উচ্ছ্বাস দিবসের ডাক দিয়েছেন। এরপর কাঁথি কলেজ মাঠে আতস বাজি ফাটানো হবে।
বুধবার রাতে পূর্ব মাজনাতে উচ্ছ্বাস দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি মিটিং হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি, সংখ্যালঘু সেলে নেতা শেখ আনোয়ার উদ্দিন, রামগোবিন্দ দাস সহ এক ঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্বরা। সেখান থেকেই শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ করেন সুপ্রকাশ৷