ইডি-সিবিআই যখন সক্রিয়তা বাড়িয়েছে তখনই শাহের ডাকে দিল্লিতে শুভেন্দু! শুরু রাজনৈতিক জল্পনা!

ইডি-সিবিআই যখন সক্রিয়তা বাড়িয়েছে তখনই শাহের ডাকে দিল্লিতে শুভেন্দু! শুরু রাজনৈতিক জল্পনা!

নয়াদিল্লি:  হঠাৎই জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাক। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছুটে গেলেন দিল্লিতে। বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করলেন শাহের সঙ্গে। শুভেন্দুর এই ঝটিকা দিল্লি সফরের রাজনৈতিক গুরুত্ব কতটা তা নিয়ে যথারীতি আলোচনা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। আর শুক্রবার সকালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাক পেয়ে দ্রুত দিল্লিতে উড়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুপুরে নর্থ ব্লকে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠক করলেন তিনি। এক দিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে, অন্যদিকে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় ব্যাপক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে সিবিআই এবং ইডি। এই আবহের মধ্যে শুভেন্দুর দিল্লি যাওয়াটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

জানা গিয়েছে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়, শাহের কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। যদিও বৈঠকের পর শুভেন্দু কিছু বলেননি। তবে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের স্ট্র্যাটেজি কি হবে, প্রচারে কোন কোন বিষয়কে বেশি করে তুলে ধরা হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শাহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট না করালে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি খুব ভাল ফল করবে।

 

দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব শুভেন্দুকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই শুভেন্দুকে যেভাবে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন অমিত শাহ, তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেছে ইডি। আর বৃহস্পতিবারই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। মঙ্গলবার তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু যেভাবে দিল্লি গেলেন তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই শুভেন্দু টুইট করে নিশানা করেন তৃণমূল সরকারের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। তিনি টুইটে লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল। সর্বদল বৈঠক নেই, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই, অথচ দিন ঘোষণা হয়ে গেল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছেন।”

তাই শুভেন্দু মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শাহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এটা ধরে নেওয়াই যায়। কিন্তু শুধু কি পঞ্চায়েত নির্বাচন, নাকি ইডি-সিবিআই যেভাবে তৎপরতা বাড়িয়েছে সেই বিষয়টি নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা বৃদ্ধি, এই সমস্ত বিষয় নিয়েও শুভেন্দু কথা বলে থাকতে পারেন অমিত শাহের সঙ্গে। তাই যে সময় এবং পরিস্থিতিতে  শুভেন্দু হঠাৎ দিল্লি গেলেন তা নিয়ে চর্চা চলবে, এটাই স্বাভাবিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *