whatsapp group
কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে পুলিশি হেফাজতে থাকার পর আজ আবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। এও জানানো হয়েছে, তাকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। কারণ পুলিশ জানিয়েছে, জেরা থেকেই আরও তথ্য উঠে আসবে। তবে আজ আদালতে তারা যে দাবি করে তাতে উদ্বেগ বাড়বে। পুলিশের দাবি, প্রমাণ লোপাট করতে একাধিক কাজ করেছিল সৌরভ। অন্যান্য ছাত্রদের বেশকিছু ‘নির্দেশ’ দিয়েছিল সে। পুলিশ এও বলেছে, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে ছাত্রকে মারা হয়েছে।
এদিন আদালতে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পরই ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নানা নির্দেশ দিয়েছিল সৌরভ। ‘জেইউএমএইচ’ নামে এই গ্রুপ আগেই তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে মাঝে মাঝে অ্যাক্টিভ থাকত সে। সরকারি আইনজীবীর দাবি, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে ছাত্রকে মারা হয়েছে, ছাত্র মৃত্যুর পর সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ষড়যন্ত্র করাই ছিল মূল লক্ষ্য। এই মামলার গত শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওই ছাত্রকে ‘খুন’ করা হয়েছে, যা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা। পাশাপাশি ধৃত সৌরভ চৌধুরীই হল ‘কিংপিন’, এমনও দাবি করা হয়।
যদিও এই দাবি মানতে চাননি সৌরভের আইনজীবী। তাঁর কথায়, এখনই এই দাবি করা যুক্তিসঙ্গত নয়। বরং তার পাল্টা দাবি, সৌরভ চৌধুরীকেই এই ঘটনায় ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করা হয়েছে। তিনি আগেও দাবি করেছিলেন, তাঁদের মক্কেলরা মানসিক হেনস্থার শিকার হয়েছে। তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।