আজ বিকেল: বেতন কমিশন, এটি কানে এলেই এই রাজ্য়ের সরকারি কর্মীদের মুখে আশার আলো জ্বলে উঠে ফের নিভে যায়। কেননা কেন্দ্রসরকারি কর্মচারীদের বেতনের ধারপাশ দিয়ে না হোক কাছাকাছি সম্মান দক্ষিণা যদি মিলে যায় তাতেই খুশি। তবে সে আশায় বোধহয় এবারেও জল পড়ল।
আগামী ২৬মে বেতন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তার তিনদিন আগেই কেন্দ্রের ক্ষমতায় কে থাকছে তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এই ফলাফলের উপরেই ঝুলে রয়েছে বেতন কমিশনের ভবিতব্য। যদি ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার হাতে ক্ষমতা চলে যায় তাহলে বেতন কমিশন কর্মীদের জন্য সদয় হয়ে পারে, নাহলে ফের কমিশনের মেয়াদ বাড়বে। কিন্তু ঠিক কোনদিকে কমিশনের ভাগ্যের পাল্লা ভারী তা আগের থেকে ভেবে নেওয়া মুশকিলের বিষয়।
ছ’মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে, এই মর্মে ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর রাজ্য বেতন কমিশন গড়া হয়েছিল। তার পর থেকে কয়েক দফায় তাদের মেয়াদ বেড়েছে। গত সাড়ে তিন বছরে কর্মী সংগঠনের ৪৫০টি দাবিপত্রের শুনানি শেষ করে সরকারের ঘরে পাঠিয়েছে কমিশন। এখনও পর্যন্ত ২৫টি দফতর বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বক্তব্য পেশ করেছে। সপ্তাহে একটি করে দপ্তরের শুনানি হওয়ায় বাকি ২৬টি দপ্তরের বক্তব্য শুনতে আরও অন্তত ছ’মাস লাগতে পারে।
এখানেই শেষ নয়, কর্মী সংগঠনের বাইরেও ৯০০ জন দাবিপত্র পেশ করেছেন। সেই সব আবেদনও শুনতে হবে কমিশনকে। এ রাজ্যে বহু সরকারি কর্মীর সংগঠন করা নিষিদ্ধ। যেমন পুলিশকর্মী, আবগারি দপ্তরের কর্মী। ওই সব বিভাগের কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে আবেদন করেছেন। তার পরে রয়েছে সরকারের অধীন ৭৮টি সংস্থার বেতন বৃদ্ধির শুনানি। সব মিলিয়ে কমিশনের এখন অনেক কাজ বাকি বলে জানান কমিশনের এক কর্তা।
সেই কাজ শেষ করতেই লোকসভা ভোটের পরে বেতন কমিশনের মেয়াদ ফের এক দফা বাড়ানোর ব্যাপারে জল্পনা চলছে নবান্নে। ভোটের মরসুমে রাজনীতির ময়দানেও বেতন কমিশন নিয়ে চর্চা অব্যাহত। এদিকেকেন্দ্রীয় সরকারের হারে বেতন বাড়াতে হলে রাজ্যকে বছরে বাড়তি ১১ হাজার কোটি টাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু আবার যদি মেয়াদ বাড়ে, তা হলে কমিশনের রিপোর্ট লেখার তাড়া থাকবে না এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে রাজ্যের অর্থ দপ্তর।