‘কন্টেনমেন্ট জোন’ ব্যাপারটা কী জানেন তো?

‘কন্টেনমেন্ট জোন’ ব্যাপারটা কী জানেন তো?

af84473ce2d08ff4ff20d00f9387d635

কলকাতা: দেশের বিভিন্ন এলাকা এখন কন্টেইনমেন্ট জোন বিভক্ত। আমাদের রাজ্যেও কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায়। সেই তালিকা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে।  কন্টেনমেন্ট জোন ঠিক কী? অনেকেই এই প্রশ্ন করছেন। এই এলাকার বাসিন্দাদের গৃহবন্দি থাকতে হবে তা বোঝাই যায়। কিন্তু, কীভাবে এই কন্টেনমেন্ট জোন ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার তা বুঝে নেওয়া দরকার।

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের – “Microplan for Containing Local Transmission of Coronavirus Disease ( Covid 19)” অনুযায়ী, কোনও জায়গা থেকে কত কেস বা করোনা সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া গিয়েছে, সেই রোগীর কাছাকাছি কতজন এসেছেন তা বিচার করা হয় এবং কন্টেনমেন্ট জোনের মানচিত্র তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, তৎক্ষণাৎ মানচিত্র তৈরি সম্ভব হয় না। কারণ, ওই রোগীর কাছাকাছি কারা এসেছেন তা খুঁজে পেতে সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে, যে বাড়িতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, সেই বাড়িকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত জায়গা চিহ্নিতকরণ করা হয় কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী কন্টেনমেন্ট জোনের পরিসীমা পরিবর্তিত হতে পারে।

যে এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন হয়েছে, সেই এলাকার বাইরে অতিরিক্ত ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের (গ্রামের ক্ষেত্রে ৭ কিলোমিটার) এলাকা বাফার জোন হিসাবে থাকে। কন্টেনমেন্ট জোন এবং আশেপাশের প্রশাসনিক এলাকাও চিহ্নিত করা হয়। এই সবকিছুই ক্লাস্টার কন্টেনমেন্ট প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত। কন্টেনমেন্ট জোনকে সেক্টরে ভাগ করা হয়। একটি সেক্টরে ৫০টি বাড়ি থাকে। তবে, অতিরিক্ত সমস্যা রয়েছে, এমন এলাকায় ৩০টি বাড়ি নিয়ে সেক্টরে ভাগ করা হয়। মনে রাখা প্রয়োজন, কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে চারটি জেলা রেড জোন চিহ্নিত করেছে। সেগুলি হল, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, কালীম্পঙ, নাদিয়া, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ, মালদা – অরেঞ্জ জোনে রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম – গ্রীন জোনে রয়েছে। কলকাতার ২৮৭ টি অঞ্চল কন্টেনমেন্ট জোনে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *