কলকাতা: নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার৷ বুধবার সন্ধ্যায় ঠিক এখানেই আক্রান্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই রাস্তার উপর দিয়েই বসন্তকুমারী মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ তৃণমূলের কর্মী সমর্থক তো বটেই রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনে ভীর জমিয়েছিলেন অগণিত মানুষ৷ সেই সময় গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গাড়ির বনেটে দাঁড়িয়েই নমস্কার করছিলেন৷ সেই অবস্থাতেই ধীর গতিতে এগোচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি৷ এই রাস্তার উপরেই ছিল দুটি লোহার পিলার৷ এই পিলারেই তাঁর গাড়ির দরজায় ধাক্কা লাগে৷ তার উপর ছিল ভীরের চাপ৷ তার জেরেই গাড়ির দরজা চেপে যায় এবং তাঁর বাঁ পায়ে চোট লাগে৷ ভীরের জেরেই কিন্তু রাস্তার উপর থাকা এই লোহার পিলার দেখা সম্ভব হয়নি এমনটাই জানা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘হয়তো কিছুদিন হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে’, হাসপাতাল থেকে ভিডিও বার্তা মমতার
ঠিক কী ঘটেছিল গতকাল? অকুস্থলে অবস্থিত একটা মিষ্টির দোকানের মালিক বলেন, ‘‘আমার দোকান থেকে বরফ চাইতেই আমরা বার করে দিই৷ উনি গাড়ি থেকে কিছুটা বেরিয়ে ছিলেন৷ সে ভাবেই গাড়ি চলছিল৷ প্রচুর মানুষ তাঁকে দেখতে এসেছিলেন৷ সেই সময়ই ঘটনাটি ঘটে৷’’ গতকাল একদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে বসন্ত কুমারী মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা৷ অন্যদিকে, তাঁকে দেখার জন্য ভীর জমিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ৷ মানুষের ভীরে রাস্তায় থাকা লোহার পিলার দেখাই যায়নি৷ যার জেরেই এই দুর্ঘটনা৷
আরও পড়ুন- সস্ত্রীক করোনা টিকা নিলেন রাজ্যপাল, বললেন, ‘দেশের ভ্যাকসিনে গর্বিত’
এদিন সন্ধ্যা ৬টায় এখানে একটি মিছিল করার কথা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের৷ কিন্তু সকলকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে মিছিল হবে কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত৷ আজ সকালেই ঘটনাস্থলে যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক বিভু গোয়েল ও পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ৷ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরাও৷ ভীর থাকায় কিছু দেখা যায়নি বলেই জানিয়েছেন সকলে৷ সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক৷