কলকাতা: হাঁসফাঁস গরমে ঘেমে নেয়ে নাকাল বাংলা৷ হাওয়া অফিস বলছে, এখনই রেহাই নেই৷ আগামী ৪৮ ঘণ্টা আরও বাড়বে তাপমাত্রা৷ বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি বাড়ছে বহুগুণ। সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে শরীরের ক্ষতি হয়। কিন্তু, উচ্চ-তাপমাত্রার সঙ্গে আর্দ্রতা জুটি বাঁধলে সেই ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ। গরমে রক্তের তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে ঘাম ঝরিয়ে ঠাণ্ডা হতে চায় শরীর। গরম বাড়লে হার্ট রেট বেড়ে যায়। বেড়ে যায় ত্বকের নীচের অংশে রক্ত সঞ্চালন।
শরীরের জল ঘামের আকারে বেরিয়ে এসে বাষ্পীভূত হলে কমে দেহের তাপমাত্রা। ১ গ্রাম জল বাষ্পীভূত হলে হিট এনার্জির পরিমাণ কমে ৫৪০ ক্যালোরি। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে ঘাম বাষ্পীভূত হতে পারে না। ফলে কমতে পারে না দেহের তাপমাত্রা। তীব্র গরমের সঙ্গে অসহনীয় আর্দ্রতা, অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ডিহাইড্রেশনে শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ব্লাড প্রেসার বেড়ে গিয়ে যখন-তখন ঘটতে পারে বিপত্তি। হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া যে ভাবে বদলে যাচ্ছে তাতে দিনে দিনে গরমের অস্বস্তি আরও বাড়বে। গরম-আর্দ্রতা মিলিয়ে অসহ্য অবস্থা থেকে রাতারাতি রেহাই মিলছে না বলে হাওয়া অফিসেরও পূর্বাভাস।