তমলুক: মন্দারমণি সমুদ্রতটে বিশালাকার তিমি৷ চাঞ্চল্য মন্দারমণির সমুদ্রতটে৷ সকালে মন্দারমণি সমুদ্রতটে একটি বিশালাকার তিমি ভেসে আসে৷ তবে মন্দারমনি সমুদ্রতটে পৌঁছনোর আগেই ওই তিমির মৃত্যু হয়৷ বিশালকার তিমির দেহ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান৷ খবর দেওয়া স্থানীয় প্রশাসনকে৷
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সি হোয়েল প্রজাতির তিমি৷ স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি, তিমিটিকে সংরক্ষণ করা হবে নাকি বালি খুড়ে কবর দেওয়া হবে৷ এর আগে ২০১২ সালে দিঘাতে একটি তিমির দেহ পাওয়া গিয়েছিল৷ বর্তমানে সেই তিমির দেহটি বহু খরচ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিঘা মোহনা থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল সমূদ্রের গভীর থেকে মৃত অবস্থায় ৪৫ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া এবং ১৮ টন ওজনের তিমিটিকে মৎস্যজীবীরা উদ্ধার করেছিল। পরে সেটি টেনে এনে দিঘা মোহনায় তোলা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে থাকা এই সি হোয়াল তিমিটি কিন্তু সাধারণ ভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে বসবাস করে। তবে কোনওভাবে খাওয়ারের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে সেটি বঙ্গোপসাগরে চলে আসে। এরপর কোনও জাহাজের ধাক্কায় মাছটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি৷ পরে সেটি মৎস্যজীবীদের জালে এসে আটকে পড়ে। মেরিন অ্যাকোরিয়াম এন্ড রিজিওনাল রিসার্চ সেন্টারের জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তৎকালীন অফিসার-ইন-চার্জ তথা গবেষক অনিল মহাপাত্র জানিয়েছিলেন, সি হোয়েল প্রজাতির এই তিমি অত্যন্ত বিরল।
এই ধরণের তিমি উদ্ধারের ঘটনা আমাদের দেশের কাছে মস্তবড় সম্পদ।তিনি জানিয়েছিলেন, প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সেই জীবাশ্মের ওপরে জীবানু নাশক বিশেষ কেমিক্যালের রঙের প্রলেপ লাগানোর পর সেটিকে ২০১৭ সালের ১৩ জুন থেকে দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়েছে দর্শকদের জন্য। এবারও একটি বৃহদাকার তিমির মৃতদেহ ভেসে এল। এই তিমিটি কী প্রজাতির তা এখনও জানা যায়নি। বন দফতর ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরই তা জানা যাবে। তারপরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণও।