করোনা সঙ্কট: আরও ৫ রাজ্যের যাত্রীদের ওপর বিধি নিষেধ জারি বাংলার

করোনা সঙ্কট: আরও ৫ রাজ্যের যাত্রীদের ওপর বিধি নিষেধ জারি বাংলার

কলকাতা: ভিন রাজ্যের যাত্রীদের প্রবেশের ওপর ফের একবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিছুদিন আগে ৪ রাজ্য, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল এবং তেলেঙ্গানার বাসিন্দাদের ওপর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছিল। এবার আরও পাঁচ রাজ্য, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং ছত্রিশগড়ের যাত্রীদের ওপর বিধিনিষেধ লাগু করা হল। পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে গেলে এখন এই সব রাজ্যের যাত্রীদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক।

নবান্ন দেখে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যের যাত্রীদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার আগে। যেদিন তারা আসতে চান তার অন্তত ৭২ ঘন্টা আগে করোনাভাইরাস টেস্ট করাতে হবে। নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলেই পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগের চার রাজ্যের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি করা হয়েছিল। rt-pcr টেস্ট করিয়ে করোনাভাইরাস নেগেটিভ রিপোর্ট আনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার দাবি করে আসছেন যে বাইরের রাজ্য থেকে বহু সংখ্যক মানুষ রাজ্যে ঢোকার কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে এখন মোট ৯ রাজ্যের উপর বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের জন্য বিজেপি একাধিক রাজ্য থেকে লোক বাংলায় ঢোকাচ্ছে এবং তাদের কারণে এখানে সংক্রমণের বৃদ্ধি হচ্ছে। মমতা এও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গকে দখল করার লোভে গোটা দেশকে সংকটে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতার কথায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে এই রূপ নিতে পারে তার ইঙ্গিত আগে থেকেই দেওয়া হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোন ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়নি। এদিকে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ দখল করার লোভে কেন্দ্রের সরকারের একাধিক নেতা এবং মন্ত্রী বাংলায় এসেছেন এবং আসছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =