কলকাতা: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের রক্তচক্ষু থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে দেশ কিন্তু ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের একাধিক রিপোর্ট বলছে যে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে আছড়ে পড়বে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তো ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে গোটা বিশ্ব তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছে গেছে। সেই প্রেক্ষিতে ভারতের সব রাজ্য নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃতীয় ঢেউ ঠেকানোর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কোন সময় আছড়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ? ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, রাজ্যের বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃত্যুর হার কমছে না। একদিন যদি একটু কমে তারপরের দিন বেড়ে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না থাকেন তাহলে রাজ্যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। তবে একটা বিষয় রয়েছে যে এর আগে একটিও ঢেউ পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু হয়নি। তাই অনুমান এবারেও ব্যাপারটি একই রকম হবে। তাই দেশে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ কোন সময় শুরু হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক অবস্থা। যদিও ভাইরাসের নতুন রূপ কতটা শক্তিশালী হবে এবং কত মানুষের টিকাকরণ করা হচ্ছে সেই সব বিষয়ের উপর নির্ভর করবে পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এর পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি মেনে কতটা চলতে পারেন তার ওপরও নির্ভর করছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন- নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ সৌমিত্রের! বললেন, ‘লড়াইটাই আসল কথা’
এদিকে, করোনা অতিমারির সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সার্বিক টিকাকরণে বিশেষ জোর দেওয়ার পাশাপাশি দীঘা ও দার্জিলিংয়ের মত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে কঠোর বিধি নিষেধ পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শহর ও ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি এলাকায় সার্বিক টিকাকরণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বাজার এলাকায় সচেতনতা প্রচার কর্মসূচিতে বাজার কমিটি গুলিকে শামিল করতে বলা হয়েছে। কোভিডের প্রতিটি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে মৃত্যুসংখ্যা যতদূর সম্ভব হাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মুখ্য সচিব জেলা গুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন।