নয়াদিল্লি: অবশেষে অন্তিম পর্বে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে একগুচ্ছ সংবাদমাধ্যম ও সংস্থাদের এক্সিট পোল। এদিন শেষ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নজিরবিহীন আট দফার নির্বাচন। গত ৬ এপ্রিলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল তামিলনাড়ু, কেরল, অসম ও পুদুচেরির নির্বাচন। শুধুমাত্র বাংলাকেই ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আর তাই ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতেও এখানে আট দফায় ভোট করাল কমিশন।
বাংলাকে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টিও। নবান্ন দখলকে কার্যত পাখির চোখ করেছিল গেরুয়া শিবির। কারণ, কেরলে এখনও বেশ অনেকটাই পিছিয়ে আছে বিজেপি। সেখানে এবারেও বামফ্রন্টই সরকার গড়তে পারে বলে দাবি অধিকাংশ সমীক্ষার। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই দলের। অসমে ইতিমধ্যেই সরকারে রয়েছে পদ্ম ব্রিগেড। তাই গোটা দেশের চোখ এবার বাংলার দিকেই। নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাই এবার বাংলার নির্বাচন কার্যত মর্যাদার লড়াই। এখানে হেরে গেলে রাজত্বকাল ধ্বংসের পথে এগোনো শুরু করবে। আবার জিতে গেলে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপিই হবে ইতিহাসের প্রথম ভারতীয় জনতা পার্টি যে বাংলায় রাজত্ব কায়েম করবে। অন্যদিকে, বিজেপিকে রুখে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হবেন গোটা দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিজেপি বিরোধী নেত্রী। তাই বাংলার দিকেই এবার নজর গোটা দেশের মানুষের।
বৃহস্পতিবার শেষ হল বাংলার ৮ দফা নির্বাচন। এরপর একে একে প্রকাশ পাবে বুথফেরত সমীক্ষা ও একগুচ্ছ এক্সিট পোল। সব সময়ই যে এক্সিট পোল প্রকৃত ফলাফলের সঙ্গে মিলে যায় তা নয়। বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় নির্বাচনের আগে জনমত সমীক্ষা ও নির্বাচন পরবর্তী এক্সিট পোলের সঙ্গে প্রকৃত ফলাফলের কোনও সাদৃশ্য নেই। উদাহরণ হিসেবে দেওয়া যেতে পারে সর্বশেষ বিহার বিধানসভার ফলাফল। এক্সিট পোলের সঙ্গে যার একেবারেই মিল ছিল না। তবুও সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃবৃন্দরা সকলেই বুথফেরত সমীক্ষা ও এক্সিট পোলের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন। কারণ কিছুটা হলেও আসন্ন ফলাফলের ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই সমীক্ষাগুলিতে। যদিও চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য আগামী ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। রবিবারই প্রকাশ পাবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।