west bengal
কলকাতা: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মন খারাপ বাঙালির৷ রোদ ঝলমলে আকাশে, পুজোর গন্ধ গায়ে মেখে যখন উৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী, তখনই এল উদ্বেগের বার্তা৷ হাওয়া অফিস জানাল, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। যার ধাক্কায় উৎসবের শেষলগ্নে মাটি হবে পুজোর আনন্দ৷ পুজোর আমেজে জল ঢালবে বৃষ্টি ‘অসুর’৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে নবমী-দশমীতে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির আশঙ্কা আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেল। সেই সঙ্গে মাথাচারা দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। তবে পুজোর সময় বাকি দিনগুলি আবহাওয়া ভাল থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে নবমী-দশমীতে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসে মনখারাপ হয়ে গিয়েছে শহরবাসীর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৩ অক্টোবর মহানবমীর দিন কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ। দশমীতে এই জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ। আর দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩০-৪০ শতাংশ। এই দু’দিন আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গে সপ্তমী থেকে দশমী আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে বলেই পূর্বাভাস। তবে ষষ্ঠী অবধি হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, দশমীর পরেও দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ মূলত উপকূলবর্তী ও উপকূল পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে বৃষ্টির মতিগতি সম্পূর্ণভাবেই নির্ভর করছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নয়া নিম্নচাপের উপর। সেটি যদি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে বিপদের আশঙ্কার বাড়বে। গত বছর অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল ‘সিত্রাং’৷ যা আঘাত হেনেছিল মায়ানমারের উপড়ে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপও শক্তি বাড়িয়ে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।