কলকাতা: রাজ্য সরকারের করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি এবং ভ্যাক্সিনেশন গতি, দুইয়ে মিলিয়ে বাংলার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। অন্তত একদিনের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণ যেমন কমেছে একই সঙ্গে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। বিগত কয়েক দিনের তুলনায় এই দিন মৃত্যুর সংখ্যা অত্যন্ত কম।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৭১১ জন, এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সংক্রমনের নিরিখে এদিনও শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১০১ জন। এদিকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা যেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দুই জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৪ এবং ৬৭। ফলে বাংলার মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫০ জন। এদিকে রাজ্যে আজ যে ক’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে দুইজন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। সবমিলিয়ে রাজ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১২৮ জন। গত একদিনে ভাইরাসকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ১১৬।
আরও পড়ুন: ‘হার’ নিশ্চিত! রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বিজেপি
এদিকে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং জেলার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। এই চার জেলার বিভিন্ন এলাকায় কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য। এই চার জেলায় কোভিড ভ্যাকসিনে জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া টেস্টও বাড়াতে বলা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ব্যারাকপুর মহকুমার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেশি। ওই মহকুমায় টিকাকরণের পরিমাণও কম। মাত্র ৩০- ৩৫ শতাংশ। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাঙড়, সোনারপুর ও বারুইপুরের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন নবান্ন। কলকাতা পুরসভার পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলেও পার্শ্ববর্তী এলাকাতে পরিস্থিতি খারাপ। তাই এইসব এলাকায় প্রয়োজনে কনটেইনমেন্ট জোন করা, ভ্যাকসিন দেওয়া ও টেস্ট করার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব।