কাকদ্বীপ: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণবঙ্গ৷ সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এবার প্রশাসনিক বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ত্রাণ, রেশন, বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে প্রাশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বেশকিছু নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আজ কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ফিরিয়ে দেওয়া এখন বড় দায়িত্ব৷ প্রচুর বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়েছে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে৷ বর্ষা আসার আগে দ্রুত সেই বাঁধ মেরামত করতে হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
ঝড়ের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ছ’কোটি মানুষ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মানুষ পানীয় জল পাচ্ছে না৷ এটা আমাদের যেন আর শুনতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে৷ কেউ যেন রেশন থেকে বঞ্চিত না হয়, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে৷ আরও বেশি করে কমিউনিটি কিচেন তৈরি করতে হবে৷ যাতে কেউ এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অভুক্ত না থাকে৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমরা একসঙ্গে চারটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি৷ করোনার জন্য আমরা এখনও পর্যন্ত একটি টাকাও পায়নি৷ ছ’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দুর্যোগ৷ তারপর করোনায় ওষ্ঠাগত প্রাণ৷ করোনার জন্য আমাদের একটা টাকাও কেন্দ্র সহযোগিতা করেনি প্রাণ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এই পরিস্থিতিতে রেশন নিয়ে যেন কোনও রকম সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে৷ গুরুত্ব দিয়ে পূনর্গঠনের কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যাদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাদের বই-খাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি৷ স্কুলের পোশাক নষ্ট হয়ে গিয়েছে যাঁদের, তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও ঘোষণা করেছেন মমতা৷