করোনা রুখতে কঠোরতা, ব্রিটেন থেকে আসা বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্যের

করোনা রুখতে কঠোরতা, ব্রিটেন থেকে আসা বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্যের

f8468a93e9dd1c1d7ae9fa5c661eca9d

কলকাতা: রাজ্যে কোভিডের ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় রাজ্য সরকার ব্রিটেন থেকে সরাসরি কলকাতায় আসা সব বিমান চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা আজ রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সচিব রাজীব বনসলকে চিঠি দিয়েছেন। আগামী ৩ জানুয়ারী থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী হবে বলে জানান হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন দেশ থেকেও যারা রাজ্যে আসছেন তাদেরও বাধ্যতামূলক ভাবে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে বলে জানান হয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমনের ঘটনা বাড়ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন।

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ওমিক্রন সংক্রমণ মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আরো কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে ২২ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কোনও যাত্রীর আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও প্রথম দফায় তাকে সাতদিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার সাত দিনের মাথায় নেগেটিভ থাকা যাত্রীদের আবার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। তারপরেও রিপোর্ট নেগেটিভ এলে যাত্রীদের আরো ১৪ দিনের জন্য নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে। পজেটিভ রোগীদের প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিদেশ থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের উপরে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ জন ওমিক্রন সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে ওমিক্রন মুক্ত হয়েছেন ১ জন, বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিদেশ না গিয়েও ১১ জনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন, বিদেশ সফরের রেকর্ড রয়েছে ১ জনের।

যিনি বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন সাম্প্রতিকালে তিনি তানজানিয়া থেকে এসেছিলেন। তবে বাকিদের, যাদের বিদেশ সফরের সাম্প্রতিক কোনও ইতিহাস নেই, তারা কী ভাবে আক্রান্ত হলেন ওমিক্রনে, সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত মিলছে না। তাহলে কি বাংলায় ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হল? আতঙ্ক বাড়াচ্ছে এই প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *