ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েও ষষ্ঠ দফায় প্রার্থী, ২৮% প্রার্থীর নামেই ফৌজদারি মামলা!

ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েও ষষ্ঠ দফায় প্রার্থী, ২৮% প্রার্থীর নামেই ফৌজদারি মামলা!

ecf192d0b9837609c9fe52626868afb4

কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ। এদিন লড়াই হবে ৪টি জেলার ৪৩টি বিধানসভা আসনে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯টি, নদীয়া জেলার ৯টি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ১৭টি এবং পূর্ব বর্ধমানের ৮টি কেন্দ্রে ভোট যুদ্ধ শুরু হবে। চলতি নির্বাচনের গত পাঁচ দফার ভোট গ্রহণেই বারবার সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির ময়দান। কখনও সেই সংঘর্ষ প্রার্থীগত, তবে বেশিরভাগ সময়ই তা দলগত। বিশেষ করে তৃণমূল ও বিজেপি মধ্যে সংঘর্ষে হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী থাকছে বিভিন্ন কেন্দ্র। এবার অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস তাদের রিপোর্টে ষষ্ঠ দফার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যেও ১২টি কেন্দ্রে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে।

উত্তর দিনাজপুর, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব বর্ধমান- এই চার জেলায় ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন ৩০৬ জন প্রার্থী। এডিএস-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৭ জন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা চলছে। যার মধ্যে ৭১ জনের নামে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। দলগতভাবে দেখতে গেলে প্রধান দলগুলোর মধ্যে সিপিআইএমের ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনের নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। তার মধ্যে আবার ১২ জনের নামেই তা গুরুতর মামলা। বিজেপির ৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জন প্রার্থীর নামে এবং তৃণমূলের ৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪ জন প্রার্থীর নামে চলছে ফৌজদারি মামলা।

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে এমন মোট ১৯ জন প্রার্থী আছেন যাদের নামে মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধ সম্পর্কিত মামলা চলছে। এই ১৩ জনের মধ্যে ১ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের মামলাও রয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ অনুযায়ী খুনের মামলায় অভিযুক্ত মোট ৫ জন প্রার্থী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭ অনুযায়ী ২২ জনের নামে হত্যার চেষ্টা করার অপরাধের মামলা রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস ষষ্ঠ দফার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রকে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে। কোনও কেন্দ্রে যদি তিন বা তার বেশি প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা স্বীকার করে নেন তাহলে সেই কেন্দ্রকে লাল সতর্কতার জানায় এডিএস। অন্যদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশের পরেও ফৌজদারি মামলা রয়েছে এমন ২৮ শতাংশ ব্যক্তিকে নির্বাচনের টিকিট দিয়ে প্রার্থী করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশও তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *