কলকাতা: শনিবার রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ। এদিন ৬ জেলার ৪৫টি বিধানসভা আসনের লড়াই হবে। শনিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি, দার্জিলিং জেলার ৫টি, নদীয়া জেলার ৮টি, উত্তর ২৪ পরগনার ১৬টি, পূর্ব বর্ধমানের ৮টি ও কালিম্পংয়ের ১টি কেন্দ্রে ভোট যুদ্ধ শুরু হবে। গত চার দফা নির্বাচনে বারবার সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির ময়দান। কখনও তার প্রার্থীগত, তবে বেশিরভাগ সময়ই তা দলগত। এবার অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস তাদের রিপোর্টে পঞ্চম দফার ৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যেও ৯টি কেন্দ্রে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে।
জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও কালিম্পং- এই ছয় জেলা মিলিয়ে পঞ্চম দফায় প্রতিদ্বন্দিতা করবেন ৩১৮ জন প্রার্থী। এডিএস-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ৩১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৯ জন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা চলছে। যার মধ্যে ৬৪ জনের নামে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। দলগতভাবে দেখতে গেলে প্রধান দলগুলোর মধ্যে বিজেপির ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জনের নামেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। যার মধ্যে ২৩ জনের নামে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের নামে চলছে মামলা। সেখানে সিপিআইএমের ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের নামে ফৌজদারি মামলা চলছে।
পঞ্চম দফার নির্বাচনে এমন মোট ১৩ জন প্রার্থী আছে যাদের নামে মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধ সম্পর্কিত মামলা চলছে। এই ১৩ জনের মধ্যে ১ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণ সম্পর্কিত মামলা রয়েছে। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজেন্দ্র সাহা’র নামেই রয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। এছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ অনুযায়ী খুনের অপরাধে অভিযুক্ত মোট ৯ জন প্রার্থী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭ অনুযায়ী ২০ জনের নামে হত্যার চেষ্টা করার অপরাধে মামলা চলছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস পঞ্চম দফার ৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রকে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে। কোনও কেন্দ্রে যদি তিন বা তার বেশি প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা স্বীকার করে নেন তাহলে সেই কেন্দ্রকে লাল সর্তকতা জানায় এডিএস। অন্যদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের করার নির্দেশের পরেও ফৌজদারি মামলা আছে এমন প্রায় ২৫ শতাংশ ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।