কলকাতা: রাত পোহালেই রাজ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। শনিবার ৫ জেলার ৪৪টি বিধানসভা আসনে লড়াই হবে। এদিন সকাল থেকে কোচবিহার জেলার ৯টি কেন্দ্র, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১১টি কেন্দ্র, হাওড়ার ৯টি, হুগলির ১০টি ও আলিপুরদুয়ারের ৫টি কেন্দ্রে ভোট যুদ্ধ শুরু হবে। বিশেষ নজরে থাকবে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র। তার মধ্যে ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব ও পশ্চিম, বালি ও সিঙ্গুর অন্যতম। গত তিন দফা নির্বাচনে বারবার সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির ময়দান। কখনও তা প্রার্থীগত, তবে বেশিরভাগ সময়ই দলগত। এবার অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস তাদের রিপোর্টে চতুর্থ দফার ৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যেও ১২টি কেন্দ্রে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে।
কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, আলিপুরদুয়ার- এই পাঁচ জেলা মিলিয়ে চতুর্থ দফায় প্রতিদ্বন্দিতা করবেন ৩৭২ জন প্রার্থী। এডিএস-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৭২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮১ জন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা চলছে। যার মধ্যে আবার ৬৫ জনের নামে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। দলগতভাবে দেখতে গেলে প্রধান দলগুলোর মধ্যে বিজেপির ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জনের নামেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জনের নামে চলছে মামলা। সেখানে সিপিআইএমের ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জনের নামেই ফৌজদারি মামলা চলছে।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে এমন মোট ১৯ জন প্রার্থী আছে যাদের নামে মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধ সম্পর্কিত মামলা চলছে। তাছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধি ধারা ৩০২ অনুযায়ী খুনের অপরাধে অভিযুক্ত মোট ৪ প্রার্থী। ভারতীয় দণ্ডবিধি ধারা ৩০৭ অনুযায়ী ১৬ জনের নামে হত্যার চেষ্টা করার অপরাধের মামলা চলছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস চতুর্থ দফার ৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি লাল সর্তকতার কথা জানিয়েছে। কোনও কেন্দ্রে যদি তিন বা তার বেশি প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা স্বীকার করে নেন তাহলে সেই কেন্দ্রকে লাল সর্তকতা জানায় এডিএস। অন্যদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশের পরেও ফৌজদারি মামলা আছে এমন প্রায় ২২ শতাংশ ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।