বোলপুর: মল্লারপুর স্টেশন৷ শনিবার সকালে হঠাতই দুই পূর্ণবয়স্ক হনুমানের লড়াই দেখে হতবাক মল্লারপুরের বাসিন্দারা৷ হনুমানের এলাকা দখলের লড়াই দেখতে জমতে শুরু করেছিল ভিড়৷ কিন্তু, এলাকা দখলের লড়াই শেষে বুন্ধিমান হনুমানের কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়ক গাছ স্থানীয়দের৷
এলাকা দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই হনুমানের লড়াইয়ে বেঁধে যায় রক্তারক্তি কাণ্ড৷ লড়াই শেষে কিছুক্ষণ একটি পালিয়ে যায়৷ অন্যটি বসেই থাকে নিজের এলাকা দখল করে৷ জয়ী হনুমানের বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়৷ কিন্তু, এরপরই ঘটে অদ্ভুত ঘটনা৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লড়াই শেষে আচমকা একটি টোটোয় চড়ে বসে জখম হনুমানটি৷ টোটোয় বসে সে বোঝানোর চেষ্টা করে, আক্রমণ করবে না৷ এরপর মল্লারপর স্টেশন থেকে টোটোয় বসে স্থানীয় পঞ্চায়েত ভবন পর্যন্ত চলে যায় হনুমানটি৷ টোটোটি পঞ্চায়েতের দিকেই যাচ্ছিল৷ পঞ্চায়েত দপ্তরের পাশেই থাকা ওষুধের দোকান দেখেই টোটো থেকে লাফ দেয় হনুমানটি৷ ঢুকে পড়ে ওষুধ দোকান৷ এরপরই ঘটে যায় অদ্ভুত ঘটনা৷
ওষুধ দোকালেন মালিক আনাজুল আজিম জানিয়েছেন, দোকানের সামনে বেঞ্চে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিল হনুমানটি৷ দোকানের বাইরে থাকা বেঞ্চেও বসে পড়ে সে৷ দোকানে ভিড় কমতেই এক লাফ উঠে বসে দোকাদারের টেবিলে৷ শরীরের ক্ষতস্থানগুলি দেখাতে থাকে সে৷ দোকানদারের হাত টেনে দেখাতে থাকে ক্ষতগুলি৷ পরিস্থিতি বুঝে অতিথি হনুমানটির ক্ষতে ওষুধ লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ মলম ও ব্যান্ডেজ করায় হয়৷ তখনও হনুমানটির অদ্ভুত তৃপ্তির অনুভূতি৷
হনুমানটির তৃপ্তি দেখে ব্যথার ওষুধ গুলিয়ে খাওয়ানো হয় তাকে৷ দেওয়া হয় কলা৷ সেই কলার মধ্যেও দেওয়া হয় ওষুধ৷ চিকিৎসা নেওয়ার ওষুদের দোকানদারের কাঁধে হাত রেখে রাস্তায় নেমে ফের স্টেশনগামী টোটোয় চড়ে বসে হনুমানটি৷ ফিরে যাওয়া সময় ঘাড়ে ঘুরিয়ে আরও একবার আনাজুলকে বিদায় জানিয়ে ফিরে যায় নিজের দুনিয়ায়৷ সেই ছবি এখনও সোশ্যাল দুনিয়ায় ভাইরাল৷