কলকাতা: শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি দাবি করছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও শীতলকুচি ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে জনসমক্ষে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ কেন সামনে আনা হচ্ছে না। যদিও এই প্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, সেদিন সব রকমের ব্যবস্থা থাকলেও শীতলকুচির ওই ১২৬ নম্বর বুথে ওয়েব কাস্টিং ‘অফলাইন’ ছিল! ঘটনার মুহূর্তের সময় যান্ত্রিক অথবা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেটি অফলাইন ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এবারের নির্বাচনের বেশির ভাগ বুথ ওয়েব কাস্টিং করা হয়েছে। শীতলকুচির ওই বুথেও একই রকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যদিও এখন জানা গিয়েছে, সবরকম ব্যবস্থা থাকলেও ঘটনার সময়ে ওই বুথের ওয়েব কাস্টিং অফলাইন হয়ে যায়। তাই সেই ভাবে কোন ফুটেজে ধরা যায়নি। যদিও জানা গিয়েছে, যে ক্যামেরার মাধ্যমে ওয়েব কাস্টিং হয়েছিল তা ছিল বুথের অন্দরে তাই বুথের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা ক্যামেরায় কতটা ধরা পড়তো সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবুও যেটুকু ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে সেটাই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সব রকমের ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও কী করে ঘটনার ঠিক আগেই ওয়েব কাস্টিং অফলাইন হয়ে গেল তা নিয়ে এখন হাজারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগেই নির্দেশ দিয়েছিল যে স্পর্শকাতর বুথে ওয়েব কাস্টিং করা হবে। সেই প্রেক্ষিতে শীতলকুচির এই বুথেও একই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর যখন ওয়েব কাস্টিং নিয়ে এই ধরনের তথ্য সামনে আসছে তখন নিরাপত্তা এবং ওই দিনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক।
শীতলকুচি এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা তরফে, নানা রকম দাবি করা হচ্ছে। যদিও প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে, যাদের মধ্যে অন্যতম ভিডিও ফুটেজ। পাশাপাশি আরও একটা প্রশ্ন অধিকাংশের মনে রয়েছে যে, সেই সময় এমন কী ঘটনা ঘটেছিল যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরাসরি গুলি চালাতে হল। কারণ গুলি চালানোর আগেও কতকগুলি নিয়ম পালন করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে সে গুলি করা হয়নি বলে ইতিমধ্যেই দাবি করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। হাওয়ায় বা কোমরের নিচে কেন গুলি মারা হল না, সেই নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।