কলকাতা: ধূর্ণিঝড় ‘যশে’র দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ বাংলার উপর যশ আছড়ে না পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেখা দিয়েছিল প্রবল জলোচ্ছ্বাস৷ ভেঙে গিয়েছে অসংখ্য বাঁধ৷ নদী ও সমুদ্রের জল ঢুকে ভেসেছে গ্রামের পর গ্রাম৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিজ জমি৷ ফের বাংলার সামনে বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি৷ অমাবস্যার ভরা কোটালে ফের প্লাবনের আশঙ্কা৷ বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে নিন্মচাপ৷ বলা হচ্ছে, এই নিম্নচাপের হাত ধেরেই বঙ্গে বর্ষার অনুপ্রবেশ ঘটবে৷ কিন্তু তার সঙ্গে জুড়েছে ভরা কোটালের আতঙ্ক৷ যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে হলুজ সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- সিঁদুর লাগিয়ে হিন্দুদের বোকা বানিয়েছিলেন নুসরত, বিস্ফোরক দিলীপ
১১ জুনের কোটাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিয়েছিলেন সতর্ক থাকার বার্তা৷ ভরা কোটালের জেরে কলকাতা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ হাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের উত্তরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে৷ যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ শনিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে৷ রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে৷ উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস৷ তবে আশঙ্কা কোটালের জেরে জলোচ্ছ্বাসকে নিয়ে৷ যশের জেরে এখনও বাংলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন৷ এই পরিস্থিতিত নতুন করে জলোচ্ছ্বাস নিশ্চিত ভাবেই বিপদের সংকেত৷
ভরা কোটালের জেরে দীঘায় ১৬ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে৷ কলকাতায় ১৭.০৬ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে৷ ১১ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগণায় ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া৷