সাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ, বৃষ্টিতে ভাসবে পুজো?

কলকাতা: আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ৷ উৎসবের মেজাজে গোটা বাংলা৷ শুরু হয়ে গিয়েছে রাত জেগে প্যান্ডেল হপিং৷ পুজোর ছুটিতে জমিয়ে ঠাকুর দেখার প্ল্যানিং সারা হয়ে গিয়েছে প্রায় সকলেরই৷ এরই মধ্যে বিঁধছে নিম্নচাপের কাঁটা৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল, অষ্টমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা যাবে৷ কিন্তু আচমকাই মুখ বেজার আবহাওয়ার। তাই পুজোয় আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে এখন রীতি মতো ধন্দে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কারণ একটা নয়, দু দুটো ঘূর্ণাবর্ত ঘনাচ্ছে সাগরে৷ চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ৷ তাই পুজোয় বৃষ্টি হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা ক্রমশ উত্তর পশ্চিমদিকে এগোচ্ছে। যার জেরে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে৷ আগামী ২০ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিনেই সেই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, এই নিম্নচাপটি ক্রমেই ঘনীভূত হয়ে আরও গভীর হবে। তবে এখনই এর গতিবিধি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়৷ আবহাওয়াবিদদের অনুমান, এই নিম্নচাপটি সম্ভবত উত্তর তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে প্রভাব বিস্তার করবে। সেটি দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে৷
এদিকে, আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এবং সংলগ্ন পশ্চিম উত্তর মুখে। মধ্য আরব সাগরে আগামী ২১ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমীর দিন এই গভীর নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টি হতে পারে সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও।
তবে বাংলায় নিম্নচাপের কতটা প্রভাব পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি আলিপুর হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি কতটা শক্তিশালী হবে বা তার অভিমুখ কোন দিকে হবে, তা নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। গত শুক্রবার হাওয়া অফিসের তরফে পুজোর দিনগুলির আবহাওয়া সম্পর্কিত যে বিশেষ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তার কোনও পরিবর্তন অবশ্য মঙ্গলবারও করা হয়নি। সেই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, অষ্টমী পর্যন্ত বাংলার আকাশ থাকবে ঝকঝকে৷ তবে ২৩-২৪ অক্টোবর অর্থাৎ নবমী ও দশমীর দিন কলকাতা ও উপকূল সংলগ্ন এবং তার কাছাকাছি কয়েকটি জেলায় আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা৷ কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনাও রয়েছে। দশমীতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টা পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে উত্তরবঙ্গে। হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। পঞ্চমী থেকে উত্তরের হাওয়া থাকবে শুষ্ক৷