কলকাতা: পুজো এসে এগিয়ে৷ নীল আকাশে ভাসছে সাদ মেঘ৷ বাতাসে ছড়িয়ে শিউলি, পাটের গন্ধ৷ চলছে পুজোর প্রস্তুতি৷ আশ্বিন মাস শেষ হতে চললেও বাংলা থেকে কিছুতেই বিদায় দিতে চাইছে না বর্ষা৷ পুজোর কাটিয়ে বাংলা থেকে বর্ষ বিদায় নেবে? এখনও অনিশ্চিত হয়নি রির্টান টিকিট!
সাধারণ আশ্বিনের মাঝামাঝি সময় থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে থাকে৷ ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে ঠাণ্ডাঠাণ্ডা অনুভূতি পাওয়া যায়৷ কিন্তু, এবার করোনার মতো প্রকৃতিও কিছুটা ভোলবদল করছে৷বৃষ্টির মাত্রা কমলেও হাওয়া অফিস বর্ষার বিদায় নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছে না৷ কেননা, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ সক্রিয় থাকায় বর্ষার বিদায়ের পথে বাঁধা হচ্ছে বলে অনুমান হাওয়া অফিসের৷ ফলে, বর্ষার চলে যাওয়া নিয়ে এখনও কিছু তথ্য দেওয়ার মতো সময় আসেনি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷
আর সেই কারণে আশ্বিনের শেষ লগ্নে আকাশে জলভরা মেঘ থাকলেও গরম কমছে না৷ আগামী কয়েকদিনে আরও তীব্র হয়েছে গরম৷ দুপুরের রোদের তেজ গ্রীষ্মকেও হার মানাচ্ছে৷ এই মুহূর্তে বাংলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪-৩৫ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে৷ স্বাভাবিকের থেকে যা অন্তত ৩-৪ ডিগ্রি বেশি৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের বেশি রয়েছে৷ আগামী কয়েকদিন গরমের পরিস্থিতি থাকবে বলেও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে৷
কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি? হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে গরম বাড়ছে৷ নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির কারণে সমুদ্র থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প টেনে নিচ্ছে৷ ফলে দখিনা বাতাস রাজ্যের অভিমুখে আসছে না বলেই তৈরি হচ্ছে সমস্যা৷
দক্ষিণ ভারতের উপর এখন যে নিম্নচাপটি রয়েছে, সেটি বুধবার কিছুটা শক্তি হারিয়েছে৷ আর তার প্রভাবে উত্তর কর্ণাটক ও সংলগ্ন অন্ধ্র ও মহারাষ্ট্রের ভারী বৃষ্টি হয়েছে৷ দফায় দফায় নিম্নচাপের কারণে বর্ষার বিদায়ের প্রক্রিয়া গত বেশ কয়েকদিন ধরে থমকে গিয়েছে৷ এখনও গুজরাত থেকে মধ্যপ্রদেশ হয়ে উত্তরপ্রদেশের উপর অবস্থান করছে বর্ষা৷ ফলে, বাংলা থেকে ২৫ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বর্ষা বিদায় নিতে পারে বলে অনুমান করছে হাওয়া অফিস৷ সাধারণত বাংলা থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বর্ষা বিদায় নিয়ে থাকে৷