কলকাতা: “কাগজ আমরা দেখাবো না।” নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এই স্লোগান শীর্ষক বাংলার কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পীর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে গর্জে উঠলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এককথায় এই শিল্পীদের যাদের মধ্যে আছেন বর্ষীয়ান ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়ের মত ,শিল্পী, তাদের 'নির্বোধ', 'নেমকহারাম' বলে উল্লেখ করলেন দিলীপ ঘোষ।
এমনকি নাগরিকত্বের গুরুত্বপূর্ণ নথির সঙ্গে তুলনা করলেন ট্রেনে চড়ার, এয়ারপোর্টে ঢোকার বা রেশন তোলার নথির সঙ্গে। যদিও পরিচয়পত্র হিসেবে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে শিল্পীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন “এই ননসেন্সরা জানেই যে রেশনের দোকান থেকে ট্রেন-বিমান সবজায়গায় বিনা পরিচয়পত্র ছাড়া নামিয়ে দেবে আপনাদের। সিনেমার টিকিট না কেটে কি পিছনের দরজা দিয়ে ঢোকেন? লোককে বোকা বানানো হচ্ছে যে কাগজ নেই!”
তবে যে নাগরিকত্ব নথি নিয়ে আতঙ্কে ইতিমধ্যেই দেশে পর পর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সঠিক কোনো নির্দেশিকা নেই, তাই ধোঁয়াশায় থেকেও নাওয়া-খাওয়া ভুলে নথি জোগাড় করতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন নাগরিকত্ব প্রমাণে মরিয়া দেশের সাধারণ মানুষ। তার তুলনা ট্রেনের টিকিট, সিনেমার টিকিটের সঙ্গে? যদিও দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ বলতে সাধারণ মানুষ এতদিন যাবৎ যে নথিগুলি বুঝতেন, যেমন ভোটার কার্ড, আঁধার কার্ড বা প্যান কার্ড জাতীয় নথিগুলি মৌখিকভাবে অকেজো বলেই উল্লেখ করেছেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে ঠিক কোন নথি নাগরিকত্ব প্রমাণ করবে তারও কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশিকা নেই।
তিনি আরও বলেন “যেসব বুদ্ধিজীবীরা পরজীবীর মতো অন্যের ঘাড়ে বসে খাচ্ছেন, তারা কী বললেন,” তাতে ওনার কিছু আসে যায় না। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের নাম না উল্লেখ করে তিনি বলেন “সোনার জিনিস চুরি করে বিদেশে আমাদের নাক-কান কাটিয়ে এসেছেন।” প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে বিদেশের এক শপিং মল থেকে সোনার কানের দুল চুরির অভিযোগ উঠেছিল স্বস্তিকার বিরুদ্ধে। এরপর কিছুদিন আগেই ‘গদিতে বসে ধর্মের নামে লাঠি ঘোরাতে দেব না’ বলে গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন স্বস্তিকা। বাক্যবাণে স্পষ্টত তারই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। তবে শুধু দিলীপ ঘোষের কথাতেই নয়, সিএএ-এনআরসির এই ভিডিও প্রকাশ্য আসার পর, বাহাবা পাওয়ার পাশাপাশি সমালোচনার শিকারও হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়।