বীরভূম: বীরভূমের আহমোদপুর কর্মীসভায় গিয়েছিলেন বীরভূমে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ আর সেখানেই জেলা সভাপতির মুখের ওপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গো হারা হারার হুমকি দিলেন দলের এক কর্মী৷ বেকাদায় পড়ে বন্ধ করে দেওয়া হল মাইক৷ ঘটনাকে ঘিরে জেলা তৃণমূল যে অস্বস্তিতে পড়ে স্পষ্টই বোঝা যায়৷ কিন্তু ওই দলীয় কর্মীর এধরণের কথা বলার কারণ কী? কারণ হল তৃণমূলের উত্তরোত্তর বেড়ে চলা গোষ্ঠীকোন্দল৷ গো হারা হারার পিছনে গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করেন জয়দেব ঘোষ নামে ওই দলীয় কর্মী৷ তাঁকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ২০০ লীড হবে? তার উত্তরে জয়দেব বাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন হবে না৷ তিনি বলেন, কোনওমতে ২০০ লীড আসবে না৷ আমরা গো-হারা হেরে যাব৷
এরপরেই অনুব্রত মণ্ডল ওই দলীয় কর্মীকে প্রশ্ন করে কেন এমনটা হবে? তাতে জয়দেব বাবু জানান, আমাদের সব ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছে৷ নিজেদের মধ্যে কোন্দল চলছে ৷ ব্যাপক গন্ডগোল চলছে নিজেদের মধ্যেই৷ যা শুনে রীতিমত চুপ হয়ে যান অনুব্রত৷ এরপরই ওই কর্মী বলেন, আপনি তদন্ত করে দেখুন৷ তবে জয়দেব ঘোষ নামে ওই দলীয় কর্মী একথা বললেও বাকী তার কথা চাপা দেওয়ার জন্য আশপাশ থেকে বলতে থাকে যে সব মিটে যাবে৷ এরপর আরেক দলীয় কর্মীর কাছে বিষয়টি ঠিকভাবে জানতে গেলে ওই কর্মী বলেন, জয়দেব বাবুর কিছু ক্ষোভ রয়েছে তা মিটিয়ে দেওয়া হবে৷ এরপর এর উত্তরে জয়দেব বাবু কিছু বলতে গেলে বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক৷ বেকাদায় পরেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত রাজ্যের বহু জায়গাতেই শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের খবর নিত্যদিন আসতেই থাকছে৷ দলের পুরোনো কর্মী চলে গিয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে এলেই শুরু হয়ে যায় দ্বন্দ্ব৷ তবে ২০২১ এর নির্বাচনে যাতে দলের সকলকে নিয়ে চলা যায় সেই চেষ্টাই করছে তৃণমূল৷ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে দলকে কড়া বার্তা দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের দলও৷ এই পরিস্থিতিতে বীরভূমে এহেন ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল বর্তমানে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ দলীয় কর্মীদের এই সভায় সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকায় বেকাদায় পড়ে মাইক বন্ধ করতে বাধ্য হয় তৃণমূল৷