আসানসোল: ৩৪ বছরের বাম শাসনের জগদ্দল পাথরকে উপড়ে ফেলেছেন। এবার মোদি সরকারকে উৎখাত করার শপথ নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিশাল জনসভায় সাফ জানিয়ে দিলেন, দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে হটিয়েছি। এবার মোদি সরকারকে হটাব, এটা আমার ওয়াদা। ৪২-৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় আসানসোলের পোলো ময়দানের জমায়েত সোল্লাসে তৃণমূল সুপ্রিমোকে সায় দিল।
গত ২৩ এপ্রিল আসানসোলের এই মাঠেই সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সেদিনের জমায়েতকে এদিন মমতা অনেক পিছনে ফেলে দিলেন বলেই জল্পনা শহরজুড়ে। এদিন শহরের গির্জা মোড় থেকে শুরু হওয়া তাঁর পদযাত্রাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন সভা করেছেন রানিগঞ্জেও। প্রবল দাবদাহকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে নেচে-গেয়ে মাঠ ভরিয়েছে মিশ্র ভাষাভাষীর এই শহর।
জনতা-জনার্দনের কাছে এদিন মমতার প্রশ্ন ছিল, দেশের সবচেয়ে বড় চোর কে? ঝুটা কে? দুই সভা থেকেই সমস্বরে জবাব এসেছে, চৌকিদার। পরের প্রশ্ন, চৌকিদার কেয়া হ্যায়? জনতার জবাব, চোর হ্যায়। মমতা এরপর বলে চলেন, দেশকে বিক্রি করে দেবেন মোদি। দাঙ্গা করে লোকটা প্রাইম মিনিস্টার কী করে হল, কে জানে! যখন পিএম হলেন, ভাবলাম ভালো কিছু করবেন। এখন তো দেখছি দেশের সর্বনাশ হল। সভাজুড়ে তখন স্লোগান— মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও। জনতার মোদি বিরোধী এহেন ঝাঁঝকে উপলব্ধি করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলে চললেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই মোদির। ওনাকে এই পদে মানায় না। খালি জুলম করেন, দাঙ্গা করেন। মমতার কটাক্ষ, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ‘তাকত’ দরকার, তা কোনও চোর বা ঝুটা আদমির থাকে না। মোদির খুব অহঙ্কার হয়েছে। ওঁকে হারাতেই হবে। জনতার কাছে মমতার আর্জি, আমাকে যদি সত্যিই ভালোবাসেন, তাহলে ওই লোকটাকে হারিয়ে দিন।