ICMR অনুমোদন দিতেই বাংলায় শুরু ‘হটস্পট’ খোঁজার কাজ

করোনা প্রতিরোধে আইসিএমআর-এর তরফে ব়্যাপিড টেস্টিংয়ের অনুমতি মেলার পরই দ্রুত গতিতে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত এলাকা বা ‘হটস্পট’ চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷ যে সকল অঞ্চলগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় রয়েছে বিশেষ নজর দেওয়া হবে সেই এলাকাগুলির উপরেও৷ এই মুহূর্তে দেশের করোনা-পরিস্থিতি যা, তাতে সরকারের এই ব়্যান্ডম এবং ব়্যাপিড টেস্টের সিদ্ধান্তটি জরুরি ছিল বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যমহলের বিশেষজ্ঞরা৷ 

কলকাতা:  করোনা প্রতিরোধে আইসিএমআর-এর তরফে ব়্যাপিড টেস্টিংয়ের অনুমতি মেলার পরই দ্রুত গতিতে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত এলাকা বা ‘হটস্পট’ চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷ যে সকল অঞ্চলগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় রয়েছে বিশেষ নজর দেওয়া হবে সেই এলাকাগুলির উপরেও৷ এই মুহূর্তে দেশের করোনা-পরিস্থিতি যা, তাতে সরকারের এই ব়্যান্ডম এবং ব়্যাপিড টেস্টের সিদ্ধান্তটি জরুরি ছিল বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যমহলের বিশেষজ্ঞরা৷ ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট আসলে হল স্ক্রিনিং টেস্ট৷ এর মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কিনা তা বোঝা যাবে ৩০ মিনিটের মধ্যে৷ তবে ব়্যাপিড টেস্টই চূড়ান্ত নয়৷ নিশ্চিত হতে এরপর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে করোনা পজেটিভ ব্যক্তিকে৷ 

রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, আক্রান্ত এলাকা বা ‘হটস্পট’ চিহ্নিত হলেই, যত শীঘ্র সম্ভব ব়্যাপিড টেস্টিংয়ের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে৷ বর্তমানে কলকাতায় এনএবিএল অনুমোদিত ৩০টি ল্যাবোরেটরি আছে৷ যে ল্যাবগুলিতে ব়্যাপিড টেস্টিংয়ের সুবিধা রয়েছে৷ 

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ  (আইসিএমআর)-এর অনুমোদন মেলার আগেই বেসরকারি ল্যাবগুলির উপর নির্ভর করেই বেশকিছু জনঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব়্যাপিড টেস্টিংয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ এবার সেই কাজ আরও গতি পেতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ 

যে ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরীক্ষার কাজ চলছে, তা করোনা ঠেকাতে যথেষ্ট নয়। সে কারণেই র্যারন্ডম এবং র্যা পিড টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আইসিএমআর-এর পরামর্শ মেনে এই পরীক্ষা শুরুর কথা জানানো হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের যে সব অঞ্চলে করোনার প্রভাব বেশি, সেখানেই প্রথমে শুরু হবে পরীক্ষা। আক্রান্ত এলাকার যথাসম্ভব বেশি মানুষের পরীক্ষা হবে। 

কিন্তু এক্ষেত্রে পিপিই একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ পিপিই সরাবরহের পরিমাণ এখনও পর্যাপ্ত নয়৷ যাঁরা র্যা পিড এবং র্যাখন্ডম টেস্ট করতে করোনা-আক্রান্ত এলাকাগুলিতে যাবেন, তাঁদের পিপিই প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে পিপিই-র জোগান যদি ঠিকঠাক না হয়, তা হলে পরিকল্পনা ধাক্কা খেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *