বাংলায় আল-কায়দা, NIA জালে ৯ জঙ্গি! রাজ্যের ‘বিপন্ন’ গণতন্ত্রে রাজ্যপালের কটাক্ষের ‘বোমা’!

রাজ্যপাল লিখেছেন, “ ডিজিপি এবং রাজ্য পুলিশ বাস্তবতা থেকে কতটা দূরে রয়েছে তা উদ্বেগের কারণ এবং একে উটপাখির আচরণ বা ‘অস্ট্রিচ স্ট্যানস' বলে উল্লেখ করে লিখেছেন এই অবস্থান অত্যন্ত বিরক্তিকর।”

কলকাতা: বাংলা থেকে ৬ জঙ্গির গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল৷ টুইটে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘বেআইনি বোমা তৈরির আস্তানা’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷

শনিবার সকালে নাশকতার পরিকল্পনা বানচাল করে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল থেকে আলকায়দার ৯ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এরপর একের পর টুইটে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ এখন রাজনৈতিক কাজ এবং বিরোধীদের ওপর বল প্রয়োগে ব্যস্ত৷’’ ইতিমধ্যেই একাধিকবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গ তুলে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল৷ এদিনের টুইটেও সেই একই সুরে আবারও রাজ্য পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ লিখেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার এভাবে অবনতি হচ্ছে, তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে রাজ্য পুলিশকে৷

এই সংক্রান্ত অন্য একটি টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ডিজিপি এবং রাজ্য পুলিশ বাস্তবতা থেকে কতটা দূরে রয়েছে তা উদ্বেগের কারণ৷’’ গোটা বিষয়টিকে উটপাখির আচরণ বা ‘অস্ট্রিচ স্ট্যানস’ বলে উল্লেখ করেছেন৷ আরও একটি টুইটে তিনি জঙ্গিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছেন৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, যাই ঘটে থাকুক,  এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ডিজিপি তাঁকে বলুন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আইন নির্ধারিত পথে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেছে কি না৷ লেখেন, ‘‘রাজ্যে বেআইনি বোমা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে৷ এতে বিপন্ন হতে পারে গণতন্ত্র৷ পুলিশ ব্যস্ত বিরোধীদের মোকাবিলায়৷ যারা উচ্চ পদে আছেন, তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না৷ পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে এনআইএ মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়েদা জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছে৷ যদিও রাজ্যের দাবি, পুলিশ আইনের রাস্তাতেই চলে৷ কারও বিরুদ্ধে বৈষম্য করা হয় না৷’’

প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে ছয় জন এবং এর্নাকুলাম থেকে তিন জন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এর্নাকুলাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস, মোসারাফ হোসেইন নামে তিন জঙ্গিকে। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ছয় জঙ্গির নাম, নাজমাস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মন্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল ও আতিতুর রেহমানক। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে ডিজিটাল ডিভাইস, তথ্য, জিহাদি পত্রিকা, ধারালো অস্ত্র ও দেশী বন্দুক উদ্ধার হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 2 =