অশোকনগর: শতাধিক পরিবার জলমগ্ন। জল ভেঙে আসবে না পুরোহিতও৷ তাই এলাকার বেশিরভাগ ঘরে লক্ষ্মী পুজো কি করে হবে, তা নিয়ে রীতিমতো তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ঘটনাস্থল, অশোকনগর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণপল্লী এলাকা৷
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এক মাসেরও বেশিদিন ধরে জলমগ্ন শতাধিক পরিবার। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো কেটেছে এই জলমগ্ন অবস্থাতে। অনেকেই দুর্গা ঠাকুরের মুখ দেখতে পর্যন্ত দেখতে পারেনি। দুর্গা পুজোর শেষে লক্ষ্মী পুজো৷ হিন্দু বাঙালির ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনা হলেও এই তরুণ পল্লী এলাকায় বেশিরভাগ ঘরেই হবে না লক্ষ্মী পুজো।
কারণ, পুরো রাস্তা জলমগ্ন। কারও কারও ঘরে পর্যন্ত জল ঢুকে গিয়েছে। জল জমে থাকায় সাপ, পোকা-মাকড়ের উৎপাত দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বাড়ছে রোগব্যাধি। লক্ষ্মী পুজো করার জন্য পুরোহিত মশাইকে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন তাঁরা৷ কিন্তু এই জল পেরিয়ে পুজো করতে আসতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন একাধিক পুরোহিত৷
বাসিন্দাদের কথায়, পুরোহিতদেরই বা দোষ দিই কি করে? পুরো এলাকা জলমগ্ন৷ ফলে এবারে আমাদের এলাকাযর কোন বাড়িতেই হচ্ছে না লক্ষ্মী পুজো। দুদিন আগে অবশ্য এলাকার বিধায়ক ও পৌর প্রতিনিধিরা জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি৷ নামেনি জলও৷ ফলে চরম সমস্যায় অশোকনগর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণপল্লী এলাকার বাসিন্দারা৷
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় রায়, অমল সরকাররা বলেন, ‘‘আমরা কিভাবে বেঁচে আছি৷ সেটা স্রেফ আমরা জানি, আর ওপরওয়ালা জানেন৷ প্রশাসন থেকে নেতা, কারও কোনও হেলদোল নেই৷’’ প্রশাসনের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷