দুর্গাপুর: নিম্নচাপের জেরে অতি বৃষ্টিতে এমনিতেই ফুঁসছে জেলার নদী, নালা৷ এবার সেই অতি বৃষ্টির জেরেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হল এক লক্ষ চুরাশি হাজার কিউসেক জল৷ যার জেরে পুজোর মুখে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
ইতিমধ্যেই ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে দুর্গাপুর ব্যারেজের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোয় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ জল ঢুকেছে মানাচরের গ্রামগুলোতেও। অন্যদিকে এই জল ছাড়ার জন্য প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার একাংশ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, ব্যারেজ থেকে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে ধাপে ধাপে। এই ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের৷ ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় সতর্কতা বার্তা জারি করেছে প্রশাসন৷
এদিকে প্রাচীন বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল রাস্তায়। হতাহতের ঘটনা থেকে প্রাণে রক্ষা। লাগাতার বৃষ্টি থামতেই হাওড়ার অতি ব্যস্ততম রাস্তা নেতাজী সুভাষ রোডের উপরে ভেঙে পড়ল একটি প্রাচীন বাড়ির একাংশ। হাওড়ার সুপ্রাচীন জানবাড়ির একটি অংশ এদিন ভেঙে পড়ে। বেলা সওয়া বারোটা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে বাড়িতে কেউ না থাকায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ ও সিইএসসি’র কর্মীরা। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। বিপজ্জনক বাড়িটির নিচে রাস্তার কিছুটা অংশ গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় নিরাপত্তার স্বার্থে। পুরসভার তরফ থেকে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হলেও বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়নি।