নন্দীগ্রাম: পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হওয়ার পর যে কয়েক জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে নন্দীগ্রামের নাম খুব একটা ভেসে ওঠেনি। অথচ এই এলাকা নিয়ে যে কোনও ভোটেই উত্তেজনা থাকে। গত বিধানসভা ভোটও ব্যতিক্রম নয়। এখানেই প্রার্থী হয়ে একে অপরের সম্মুখীন হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আবহেও এই এলাকায় হিংসা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থেকে সেইভাবে কোনও অশান্তির খবর আসেনি।
আজ নির্বিঘ্নেই ভোট শুরু হয়েছে নন্দীগ্রামে। সকাল থেকে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করলেও এখানকার মানুষ শান্তিমতোই ভোট দিতে পারছেন বলে খবর। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের নন্দনায়েকবাড় বুথে নির্বিঘ্নেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। এখানেই ভোট দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বুথে ভোট দিতে যাবেন তিনি বলে খবর। তবে বলতেই হয়, পঞ্চায়েতের প্রচার বেলার শেষ পর্বে এই নন্দীগ্রাম উত্তপ্ত হয়েছিল।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং বাকিরা ‘চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা’ বলে স্লোগান দেয়। গাড়ি থেকে মুখ বের করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। প্রচারের শেষ দিন নন্দীগ্রামে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে সভা ছিল তৃণমূলের। সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিরোধী দলনেতার কনভয় যখন নন্দীগ্রামে বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময়ই তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘চোর চোর’ এবং ‘গদ্দার’, স্লোগান দেওয়া হয়। শুভেন্দু অধিকারীকেও গাড়ির জানালা থেকে মুখ বের করে কিছু বলে দেখা যায়।