কলকাতা: ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন শুরু হয়েছে। কোচবিহারের দিনহাটা, নদীয়ার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা গোসাবা আসনে ভোটগ্রহণপর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহ এবং গোসাবা আসলে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি দুই কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী আপাতত ২-২ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে এই উপ নির্বাচনের পর দুই রাজনৈতিক দলের স্কোর কী হয়, তাই দেখার।
খড়দহ এবং গোসাবা আসনের প্রার্থী যথাক্রমে কাজল সিনহা এবং জয়ন্ত নস্কর নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কিন্তু ফল প্রকাশের সময় মৃত্যু হয় দুজনের। অন্যদিকে দিনহাটা এবং শান্তিপুরে বিজেপির প্রার্থী, নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার জয়ী হলেও তারা দু’জনেই বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদে থেকে যান। এই কারণেই আজ ৪ কেন্দ্রে নির্বাচন সংঘটিত হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা। বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন উদয়ন গুহ। তিনি মাত্র ৫৭ ভোটে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। যদিও সেই জয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। অন্যদিকে শান্তিপুরে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী ছিলেন অজয় দে। তিনি প্রায় ১৬ হাজার ভোটে পরাজিত হন। অন্যদিকে খড়দহের ঘাসফুল প্রার্থী কাজল সিনহা বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে ছিলেন প্রায় ২৮ হাজারের বেশি ভোটে। উপনির্বাচনের সেখানে প্রার্থী হয়েছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। সবশেষে গোসাবায় তৃণমূল জিতেছিল ২৩ হাজারের বেশি ভোটে। উপনির্বাচনে তাহলে বিজেপি এবং তৃণমূল কী ফল করে তার দিকে এখন তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
বিধানসভা নির্বাচন এবং আজকের উপনির্বাচনের মধ্যে অনেক দল বদল ঘটে গিয়েছে দুই দলের মধ্যে। একাধিক বিধায়ক এবং নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। তাই অনেকেই মনে করছেন, বিধানসভায় যে ফল হয়েছিল সেই ফল এই উপনির্বাচনে হয়তো হুবহু মিলবে না। ঘাসফুল শিবির ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে তারা চারটি কেন্দ্রে জিতবে। যদিও বিজেপি সম্পূর্ণ উল্টো দাবি করেছে।