সুরক্ষার দাবিতে জেলাশাসক দফতরের সামনে ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ

সুরক্ষার দাবিতে জেলাশাসক দফতরের সামনে ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ

 

কলকাতা:  আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীসহ সুনিশ্চিত নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিক্ষোভের পর এক প্রতিনিধি দল উপ-জেলাশাসক প্রতিমা দাসের নিকট একটি ডেপুটেশন জমা দেয়। উপ-জেলাশাসক প্রতিমা দাস জানিয়েছেন যে, আজকের ডেপুটেশনের কপি তিনি সিইও দপ্তরে পাঠিয়ে দেবেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী, প্রভাত শতপথী, অনিন্দ্য সুন্দর পাল, বিশ্বজিৎ ভূঁইঞা প্রমুখ।

এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক- শিক্ষাকর্মী- শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সদস্য অনিন্দ্য সুন্দর পাল বলেন, “এখনো বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষনা হয়নি, তার আগেই আমরা আমাদের জেলায় জেলাশাসকের দপ্তরে ভোট কর্মী হিসেবে আমাদের দাবি গুলি জানিয়ে গেলাম”। এই প্রসঙ্গে মঞ্চের আরেক সদস্য প্রভাত সৎপথি বলেন, “নির্বাচনের পূর্বে আমরা যদি যথাযথ প্রতিশ্রুতি না পাই কিংবা নিরাপত্তার প্রশ্নে যদি অবহেলা দেখা যায় তাহলে আমরা বিগত দিনের মতো জেলাজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং প্রয়োজনে ভোট কর্মী হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব বয়কট করার ডাক দেবো৷”

বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি নিয়ে মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “রাজ্যের সিইও দপ্তরের পাশাপাশি আমরা প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের দপ্তরে এবং ব্লকে ব্লকে ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা বিশেষ কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নই। আমরা চাই সাংবিধানিক দায়িত্ব ভোট কর্মীরা যেন মাথা উঁচু করে পালন করতে পারে তা নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন৷’’

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের উপ-জেলাশাসককে জমা দেওয়া ডেপুটেশনে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক- শিক্ষাকর্মী- শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ যে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে সেগুলির মধ্যে মূল হল, রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কর্মীর জন্য সুনিশ্চিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং তার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং প্রতিটি বুথে প্রিজাইডিং অফিসারের সহিত ৬ জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে ভোটার এবং ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও, স্পর্শকাতর বুথগুলিতে দ্বিগুণ হারে এই নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে এই মঞ্চ। এসবের পাশাপাশি তারা আরো দাবি করেছেন, ডিউটি থাকা অবস্থায় হিংসাত্মক কোন ঘটনায় ভোট কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা আর সাধারণ মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে এবং পরিবারের একজনকে চাকুরি দিতে হবে এবং হতাহতের জন্য আগে থেকে প্রতিটি ভোট কর্মীর জন্য বীমার ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। এছাড়াও ভোটকর্মীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার কথা ভেবে মঞ্চের তরফে ভোট কর্মীর জন্য প্রতিষেধক কোভিড ভ্যাকসিন টিকাকরণ এবং কর্মীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যাপারে সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে মঞ্চের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 3 =