নিরাপত্তা চেয়ে মমতার শহরে ভোট কর্মীদের বিদ্রোহের আগুন

কলকাতা: ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ৮ এপ্রিল শহর কলকাতার বুকে মহামিছিলে ডাক ভোট কর্মীদের একাংশের৷ রাজ্যের সমস্ত জেলায় শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে৷ আগামী ৮ এপ্রিল, দুপুর ১২টায় কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ঐক্য মঞ্চের প্রতিবাদ মিছিল ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ডেপুটেশন নেওয়া

নিরাপত্তা চেয়ে মমতার শহরে ভোট কর্মীদের বিদ্রোহের আগুন

কলকাতা: ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ৮ এপ্রিল শহর কলকাতার বুকে মহামিছিলে ডাক ভোট কর্মীদের একাংশের৷ রাজ্যের সমস্ত জেলায় শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে৷ আগামী ৮ এপ্রিল, দুপুর ১২টায় কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ঐক্য মঞ্চের প্রতিবাদ মিছিল ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ডেপুটেশন নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷

প্রতিটি জেলা থেকে ভোট কর্মীদের সংগঠিত করে সারা রাজ্যজুড়ে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষা কর্মী শিক্ষানুরাগীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, আগামী ৮ এপ্রিল সারা জেলার আন্দোলনের ধারা কলকাতায় মিলিত হয়ে বৃহৎ আকার ধারণ করবে। নিজেদের নিরাপত্তা মান মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার দাবিতে এই মিছিলে সকলকে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে৷

অন্যদিকে, নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে অবরোধ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেমেছেন ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চ৷ লোকসভা নির্বাচনে আবার হতে চাই না রাজকুমার৷’ এই স্লোগান তুলে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ভোটকর্মীদের৷ পর্যাপ্ত কেন্দ্র বাহিনী ছাড়া কোনও ভাবেই ভোটের কাজ করা হবে না, শুক্রবার এই দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখালেন শ’পাঁচেক ভোটকর্মী৷ কোচবিহার জেলা শাসকের দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের৷ নিরাপত্তা সংক্রান্ত লিখিত জবাব না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলেও ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে৷ এদিন নিরাপত্তার দাবিতে পথ অবরোধও করেন ভোটকর্মীদের একাংশ৷

নিরাপত্তা চেয়ে মমতার শহরে ভোট কর্মীদের বিদ্রোহের আগুনপ্রতিটি বুথকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে, এই দাবিতে এদিন কোচবিহার ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চের কোচবিহারের মাথাভাঙা শহরে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া রাজ্যের পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হলে কাজ বয়কচটেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের বাহিনী দিয়ে ভোট করালে কোনও ভোটকর্মী ভোট করাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাবেন না৷

নিরাপত্তা চেয়ে মমতার শহরে ভোট কর্মীদের বিদ্রোহের আগুনপঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় গত ১৪ মে ইটাহারে ভোট গ্রহণের কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ৪৮ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসার রায়গঞ্জের বাসিন্দা রাজকুমার রায়। পরদিন ১৫ মে সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের সোনাডাঙা এলাকায় রেললাইনের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

এই ঘটনায় পর ভোটকর্মীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রায় এক বছর হতে চললেও এখনও রাজকুমার রায়ের মৃত্যু রহস্য প্রকাশ্যে আসেনি৷ এবারের নির্বাচনেও যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপ্তার দাবি জানিয়ে এসেছেন ভোট কর্মীদের একাংশ৷ কিন্তু, বারবার অভিযোগ জানানো হলেও মেলেনি সমাধান৷ মূলত, এবারের নির্বাচনে পর্যপ্ত নিরাপ্তা নিশ্চিত করতে আজ বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 5 =