১১টা পর্যন্ত তিন জেলায় ভোটদানের গড় ৩৫ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা

১১টা পর্যন্ত তিন জেলায় ভোটদানের গড় ৩৫ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা

কলকাতা: প্রথম দুই দফার মতো বাংলার নির্বাচনের তৃতীয় দফাতেও সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে সর্বত্র। কোথাও ভোট লুটের অভিযোগ, কোথাও ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, সব মিলিয়ে তৃণমূল কংরেস-বিজেপির অভিজগ-পাল্টা অভিযোগ চলছেই। এসবের মধ্যেই জানা গিয়েছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত তিন জেলায় ভোটদানের গড় হার ৩৫ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট পড়ল ৩২ শতাংশ, হাওড়া ও হুগলিতে ৩৭ শতাংশ ভোটদান হয়েছে।

অন্যদিকে, আইএসএফের বিরুদ্ধে অশান্তি বাধানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, যার প্রতিবাদে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান। বোমাবাজি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তাঁর। পালটা আইএসএফের দাবি, ভোট লুটের জন্য এসব করছে তৃণমূল। তার আগে, তারকেশ্বর টাউনের ২৬০ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্ট পাপ্পু সিংকে বুথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল নিউটাউন তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন সামন্তের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। এদিকে, হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থেকে ফের অশান্তির খবর আসে। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এদিন ফের অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি আজ বিজেপির পক্ষ থেকেও অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগ করেন ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদার। তাঁর দাবি, বিজেপির এজেন্টকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এদিকে অভিযোগ করার পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনরকম পদক্ষেপ করছে না। যেসব এলাকায় কোনরকম সমস্যা নেই সেইসব এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। কিন্তু যেসব জায়গায় সমস্যার রয়েছে সেখানে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কোন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, তাদেরকে অভিযোগ জানালেও কোন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকের সঙ্গে কার্যত তর্কাতর্কি হয় বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − six =