কলকাতা: রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। ওই দিন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর এক মাস ধরে ভোটার তালিকায় নাম তোলা, নাম সংশোধন করা এবং নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। প্রতি শনি ও রবিবার বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত আবেদনের শুনানি হবে। এরপর আগামী বছর ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তারাও ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষের দিকেই আবার বাংলায় ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যে যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেগুলি হল— ভবানীপুর, খড়দহ, বাসন্তী, শান্তিপুর এবং দিনহাটা। এছাড়া দুটি কেন্দ্রে ভোটই হয়নি, সেগুলি হল জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ। ইতিমধ্যেই ভবানীপুর সহ রাজ্যের পাঁচটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোট যন্ত্র পরীক্ষার কাজ অগস্টের প্রথম সপ্তাহে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন দফতরের তরফে। অনুমান করা হচ্ছে অগাস্টের শেষেই বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাজ্যে উপনির্বাচন হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। শাসকদল সম্পূর্ণভাবে উপনির্বাচন করাতে চাইলেও বাংলার বিরোধী দল বিজেপি শিবির এখনই উপনির্বাচন চাইছে না। তারা রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকেই হাতিয়ার করছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার এখনো পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য। তাহলে নির্বাচন কী করে সংঘটিত হবে।
আরও পড়ুন- কোভিডের কাজ করা আশাকর্মীর বাড়িতে পুলিশি হানা, তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার ইউনিয়ন
যদিও এই উপনির্বাচনেও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আসন হয়ে উঠছে ভবানীপুর কারণ সেখান থেকেই নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র থেকে জিততে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে নির্বাচনের ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছে যে এই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচনে আরো বেশি জোর দিচ্ছে।