রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগে নির্বাচন কমিশন! আসছে ফুল বেঞ্চ

একই সঙ্গে জানানো হলো নির্বাচনী আবহে রাজ্যের সব বুথে থাকবে কড়া নজরদারি।

 

কলকাতা: আর কয়েক মাসের অপেক্ষা। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা এবং উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি শিবির থেকে ক্রমাগত অভিযোগ তোলা হচ্ছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, নির্বাচনের সময়ও এই দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কার্যত বিরোধী শিবিরের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে আজ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে জানানো হলো নির্বাচনী আবহে রাজ্যের সব বুথে থাকবে কড়া নজরদারি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন ডিএম-এসপিদের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে সেই ব্যাপারেই বার্তা দেওয়া হয়েছে এই দিনের বৈঠকে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ১০০ শতাংশ ভোট স্পর্শ কাতর, ভাবা হচ্ছে এমন টাই। এদিকে সব বুথে কড়া নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আরো জানা গিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলায় আসতে পারে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কীভাবে নিয়ম বিধি মেনে নির্বাচন করা যায় এই আলোচনার পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে যেন কোনো অসুবিধা না হয় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয় এই বৈঠকে। একইসঙ্গে রাজ্যের কোথাও যদি নিরাপত্তা বিষয়ক কোনো ব্যাঘাত ঘটে সে ব্যাপারে তৎক্ষণাৎ নির্বাচন কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সূত্রের খবর, এদিন সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ১৪ জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার। এদিকে, সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করতে রাজ্য সরকার সমস্ত ভাবে সহযোগিতা করতে চায় নির্বাচন কমিশনকে। ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার কেউ কেউ দায়িত্ব নিয়ে নিয়ে কাজ করছে সংবিধান বহির্ভূত কাজ। বিজেপির কর্মকর্তা রা বাহুবলিদের এনে তৃণমূল কংগ্রেসের কদর্য ভাষায় আক্রমণ করছে। এর জন্য লিখিত এবং মৌখিক জানান হয়েছে। কমিশন এমন কাজ করছে যা কমিশন এক্তিয়ার কেই চ্যালেঞ্জ করছে। বৈঠকের শেষে এমনটাই জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =