ভোট পিছনো নিয়ে সওয়াল চলছেই, রায়দান আপাতত স্থগিত

ভোট পিছনো নিয়ে সওয়াল চলছেই, রায়দান আপাতত স্থগিত

কলকাতা: চার পুর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত আদালত অবমাননার অভিযোগ মামলায় কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দেয়নি আদালত। আজ এমনটা জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য অবশ্য বলছেন যে, কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা। কিন্তু কমিশন ৩ সপ্তাহের জন্য ভোট পিছিয়ে দিয়েছে। তিনি মনে করছেন এটা কমিশন আদালত অবমাননার করেছে।

আরও পড়ুন- সুর সম্রাজ্ঞীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদনে মুখ্যমন্ত্রী, উপস্থিত অগণিত মানুষ

এক্ষেত্রে তাঁর প্রশ্ন, আদালত যেখানে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য ভোট পিছতে ইঙ্গিত দিলেন সেখানে ৩ সপ্তাহ পিছনো হল কিসের ভিত্তিতে। এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, তিন সপ্তাহের জন্য ভোট পিছিয়ে দিয়েছে কমিশন তাতে কী হয়েছে। এর উত্তরে বিকাশ বলেন, আদালত তার রায়ে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু সেটা আদতে মানা হয়নি। এদিন শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আসলে জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ চার কেন্দ্রের পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয় তিন সপ্তাহ। কেন হঠাৎ তিন সপ্তাহ পিছনো হল ভোট, কোন যুক্তিতে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্ন তুলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। মামলাকারী জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ ছিল ন্যুনতম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছনোর। হাইকোর্টেের নির্দেশের পরেও কেন তাকে মান্যতা দেয়নি কমিশন, এই প্রশ্ন তুলেই হাইকোর্ট অবমাননার নোটিশ কমিশনের কাছে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতি কারণে হাইকোর্টের নির্দেশের পর আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর পুরনিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি পরিবর্তে পিছিয়ে স্থির হয় ১২ ফেব্রুয়ারী। আগেই আদালতে একটি প্রশ্ন উঠেছিল যে, নির্বাচন পিছনোর ক্ষমতা কার হাতে? রাজ্য সরকার না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷ রাজ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ভোট ঘোষণা হয়ে গেল ভোট পিছোনের ক্ষমতা থাকে একমাত্র কমিশনের হাতে৷ আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভোট করানো সম্ভব নয় বলে রাজ্য ঘোষণা করলে একমাত্র সে ক্ষেত্রেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *