কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে মহিষাদল, সবং থেকে শুরু করে বাঁকুড়া, সব জায়গায় তৃণমূল এবং বিজেপির অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে। পাবে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ৩০ আসলে মোট ভোটের পরিমাণ ৩৭.৪২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি শতাংশ ভোট এখনো পর্যন্ত পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় যে জেলাগুলিতে ভোট হচ্ছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট এখনো পর্যন্ত পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে, ৪১.৪৯ শতাংশ। তার পরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, ৩৮.২৭ শতাংশ। এরপরে বাঁকুড়া, ৩৬.৯২ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২৭.০৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে এই জেলাগুলির ৩০ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৩৭.৪২ শতাংশ। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সকাল ১১ টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৩৪.১২ শতাংশ। এছাড়াও, চণ্ডীপুরে ৪১.২৫ শতাংশ, হলদিয়ায় ৩৫.৬০ শতাংশ, মহিষাদলে ৩৮.৯৫ শতাংশ, নন্দকুমারে ৩৮.৬০, পাশকুঁড়া পশ্চিমে ৩৭.৩০, পাশকুঁড়া পূর্বে ৩৪.৭৬ এবং তমলুকে ৪১.৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দ্বিতীয় দফায় প্রথম দফার মতই চিত্র ধরা পড়ছে গোটা বাংলায় সকাল থেকেই। জায়গায় জায়গায় অশান্তি এবং অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ঘটনা। অভিযোগ, ভোটদান আটকানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকদের খুনের হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। একইসঙ্গে অনেক তৃণমূল কর্মীদের ভোটদানে ‘বাধা’ দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকরা। তারা দাবী করছেন, বিজেপি কর্মীদের মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে! একইসঙ্গে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, পাশাপাশি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলছে। বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির খবর আসার পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় বলেও জানা গিয়েছে। তবে ভোট প্রভাবিত এবং অশান্তির বিষয়ে অভিযোগ শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের নয়, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করছে বিজেপিও। দাবি করা হচ্ছে, বেশিরভাগ জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস অশান্তি সৃষ্টি করে দোষ চাপাচ্ছে বিজেপির ঘাড়ে।