কলকাতা: দেশজুড়ে চতুর্থ দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ভোট মোট আট আসনে। বহরমপুর, রানাঘাট, বর্ধমান–দুর্গাপুর, বোলপুর, কৃষ্ণনগর, বর্ধমান-পূর্ব, আসানসোল এবং বীরভূম।
প্রার্থী: এই আট আসনে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই সাত প্রাক্তন সাংসদের। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী, বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিজেপির বর্ধমান পূর্বের সাংসদ কিন্তু আসানসোলের প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়া, বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ কিন্তু এই বছর বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ, তৃণমূলের বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, আসানসোলের সংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা ও শতাব্দী রায়। আর এবার নিজেদের প্রমাণ করার লড়াইও লড়বেন কৃ্ষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়, যিনি কৃষ্ণনগরের রানিমা। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট তারকা তথা তৃণমূলের বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী কীর্তি আজাদ, বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী এবং ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তবে বাংলার চতুর্থ দফার ভোটে এরা ছাড়াও আরও বহু প্রার্থী রয়েছেন। সোমবারের ভোটে মোট ৭৫ জন প্রার্থী সামিল ভোটযুদ্ধে।
বুথ: আজ ভোট ১৫ হাজার ৫০৭টি বুথে। তবে এই ১৫,৫০৭টি বুথের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের হিসাবে স্পর্শকাতর বুথ ৩৬৪৭টি।
ভোটার: চতুর্থ দফার ভোটে আটটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি, ৪৫ লক্ষ, ৩০ হাজার ১৭ জন। এঁদের মধ্যে মহিলা ভোটার ৭১ লক্ষ ৪৫হাজার ৩৭৯ জন। পুরুষ ভোটার ৭৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৫৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২৮২জন।
বাহিনী: চতুর্থ দফায় আটটি কেন্দ্রে মোট ৫৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন বর্ধমান পূর্বে। ১৫২ কোম্পানি। এর পরেই বীরভূম। ১৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় স্থানে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনস্থ এলাকা। ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ত্রিশ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছেন ১৫,৫০৭ বুথে।