কলকাতা: আজ রাজ্যে সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ। সোমবার সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ৫ জেলার ৩৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে এদিন ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় বাতিল হয়েছে এই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। তবে খুব শিগগিরই ভোটগ্রহণ হবে এই দুই কেন্দ্রেও। এই দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২৮৪ জন প্রার্থী। তৃণমূল, বিজেপি, সংযুক্ত মোর্চা কিংবা নির্দল থেকে যেমন রয়েছেন কোটিপতি প্রার্থী তেমনি রয়েছেন ন্যূনতম হাজার টাকার সম্পত্তির মালিক প্রার্থীও। এক ঝলকে তাহলে দেখে নেওয়া যাক এই দফার লড়াইয়ে সবচেয়ে বড়লোক প্রার্থী কে? কেই বা দরিদ্রতম প্রার্থী?
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সপ্তম দফার নির্বাচনে যে ২৮৪ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধের ময়দানে নেমেছেন তাদের মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীর ৫ কোটি বা তার বেশি সম্পত্তি রয়েছে। ২ কোটি থেকে ৫ কোটির মধ্যে সম্পত্তি রয়েছে ২০ জন প্রার্থীর। আবার, ১০ থেকে ৫০ লক্ষের মধ্যে সম্পত্তি রয়েছে মোট ৮০ জন প্রার্থীর। সর্বোচ্চ ৯৯ জন প্রার্থী ১০ লক্ষ টাকার নিচে সম্পত্তি রয়েছে। ২৮৪ প্রার্থীর মধ্যে ৬৫ জন প্রার্থীই কোটিপতি। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ২৬ জন প্রার্থী, জাতীয় কংগ্রেসের ১১ জন প্রার্থী, বিজেপির ১৩ জন এবং সিপিআইএমের মাত্র একজন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন।
এডিএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সপ্তম দফার প্রার্থীদের গড় সম্পদের পরিমাণ ১.২২ কোটি টাকা। দলগতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের গড় সম্পদ ৫.০৫ কোটি টাকা। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ১.৯০ কোটি টাকা। সবচেয়ে কম সিপিআইএম প্রার্থীদের গড় সম্পত্তি ৬৮.০৯ লক্ষ টাকা। সপ্তম দফার প্রার্থীদের সর্বাধিক সম্পত্তির বিচারে সবচেয়ে বড়লোক প্রার্থী মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জাকির হোসেন। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৭ কোটি টাকা। শুধুমাত্র সপ্তম দফাই নয়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সমস্ত দফা মিলিয়ে সবচেয়ে বড়লোক প্রার্থী এই জাকির হোসেন। এই তালিকায় তৃতীয় নম্বরে আছেন কলকাতার বিদায়ী মেয়র তথা কলকাতা পোর্ট কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ কোটি টাকা।
এডিএস-এর রিপোর্টে সবচেয়ে কম সম্পত্তির মালিক প্রার্থীদের তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থী সুরেশ প্রসাদ। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১০০০ টাকা। একই সম্পত্তি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বহুজন মুক্তি পার্টির প্রার্থী শিউলি রুইদাস। প্রার্থীরা প্রত্যেকেই নিজেদের হলফনামায় তাদের উচ্চ ঋণের কথা জানিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঋণের বোঝা রয়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জাকির হোসেনের ঘাড়ে। ৬ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে তার। যদিও তার কেন্দ্রের এক প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় বাতিল হয়ে গিয়েছে জঙ্গিপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। তবে পরিবর্তিত ভোটগ্রহণের দিন শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।