ভোটের গেরোয় থমকে বাংলার কৃষকদের ভবিষ্যৎ, বিপাকে পরিবার

কলকাতা: এবারের লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষক সমস্যা৷ কে কি করছে, কে কী করবে, এই নিয়েই ভোটের বাজারে চলছে দড়ি টানাটানি৷ কিন্তু, যাঁদের জন্য এতকিছু সেই কৃষকরাই পড়েছেন বিপাকে৷ ভোটের গেরোয় থমকে গিয়েছে একাধিক কৃষক প্রকল্প৷ বন্ধ সরকারি ভাবে ফসল কেনার কাজ৷ কৃষকবন্ধু প্রকল্পের কাজ স্থগিত৷ ফলে, ভোটের বাজারে চূড়ান্ত সমস্যায় বাংলার

ভোটের গেরোয় থমকে বাংলার কৃষকদের ভবিষ্যৎ, বিপাকে পরিবার

কলকাতা: এবারের লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষক সমস্যা৷ কে কি করছে, কে কী করবে, এই নিয়েই ভোটের বাজারে চলছে দড়ি টানাটানি৷ কিন্তু, যাঁদের জন্য এতকিছু সেই কৃষকরাই পড়েছেন বিপাকে৷ ভোটের গেরোয় থমকে গিয়েছে একাধিক কৃষক প্রকল্প৷ বন্ধ সরকারি ভাবে ফসল কেনার কাজ৷ কৃষকবন্ধু প্রকল্পের কাজ স্থগিত৷ ফলে, ভোটের বাজারে চূড়ান্ত সমস্যায় বাংলার কয়েক কোটি কৃষক৷

নির্বাচনে আদর্শ আচরণবিধির কারণে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের কাজ স্থগিত থাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কৃষকদের দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও। রাজ্য সরকার প্রকল্প নিয়েছে, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা কৃষকরা ৬০ বছর বয়সের আগে মারা গেলে বা দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু, আদর্শ আচরণবিধির জন্য এই প্রকল্পে কৃষকদের নথিভুক্তিকরণও আটকে যাচ্ছে। এই কারণে এখন কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন করা কৃষকদের কোনও দুর্ঘটনা হলে, তাঁরা এই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হবেন। এই নিয়ে কৃষকদের মধ্যেও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের অফিসাররা বলেছেন, এই প্রকল্পটি যেহেতু চালু হয়ে গিয়েছে, তাই তা বন্ধ রাখার কোনও যুক্তি নেই। সেই কারণে এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আপাতত চেক বিলি স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু, এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা কৃষকরা কোনও কারণে এই সময়কালে মারা গেলে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন কি না তা নিয়ে ব্লক বা জেলা প্রশাসনের অফিসাররা নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারছেন না।

নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না পাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে সরকারি উদ্যোগে আলু কেনা আপাতত বন্ধ রাখতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার। কৃষি বিপণন দপ্তর এব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে। আলু কেনার যে বিজ্ঞপ্তি দপ্তর জারি করেছিল, তাতে দক্ষিণবঙ্গে ১৭ মার্চ পর্যন্ত আলু কেনার কথা ছিল। ওই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে গত সপ্তাহে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেছেন, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কমিশনের ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। তাই দক্ষিণবঙ্গে আলু কেনা বন্ধ রাখতে হয়েছে। কমিশন অনুমতি দিলে ফের আলু কেনা শুরু হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ২৪ মার্চ পর্যন্ত আলু কেনার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ভোট ঘোষণার আগে আলু কেনার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কৃষি বিপণন দপ্তর। উত্তরবঙ্গে তাই ওইদিন পর্যন্ত আলু কেনার কাজ চালানো যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 9 =