আজ বিকেল: মোদি তো রাজ্যে জনসভা করতে এলেই বলতে থাকেন এখানে সরস্বতী পুজো দুর্গাপুজো হয় না, তৃণমূল সরকার করতে দেয় না। কিন্তু এটা তো ভুল তথ্য , বাংলায় ২৮ হাজার দু্র্গাপুজো হয় প্রতি বছর। আর রস্বতী পুজোও কয়েক হাজার হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা ক্লাবগুলিকে গতবছর থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিজেপি আবার এই টাকা কেন দেওয়া হবে তার জবাব চেয়ে আদালতে গিয়েছে। তাহলে বাঙালি হিন্দুর শত্রু আসলে কে তা ভালভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
বাংলার ভোট চাইতে এসে মোদি-শাহ জুটি হাহাকার করছেন, এখানে তো পুজো করতে দেওয়া হয় না। তাহলে ২৮ হজার দুর্গাপুজো কি গুজরাটে হচ্ছে? তাহলে পুজো উদ্যোক্তাদের টাকা দেওয়ার বিরোধিতা করে বিজেপি আদালতে গেল, সেটাও ভুল? বাঙালির ভোট পেতে নিদারুণ দ্বিচারিতায় মেতেছে বিজেপি। আবার পুজো উদ্যোক্তাদের খরচের হিসেবে নিতে ইডি-কে লেলিয়ে দিয়েছে। আয়কর দাখিলের নির্দেশ দিচ্ছে।
অসমে এনআরসি- ইস্যুতে বাঙালিদের দেশ ছাড়া করছে বিজেপি। বিজেপির প্ররোচণায় এনআরসি-তে ২২লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ গিয়েছে। গত দেড় বছরে প্রায় ৩৫জন বাঙালি অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন। তখন বিজেপি কোথায় ছিল, এখন বাংলায় পাত্তা পেতে ফের এনআরসি- আর বিভাজনের তত্ত্ব আওড়াচ্ছে। আসলে বিজেপি কোনওদিনই হিন্দু বাঙালিদের পছন্দ করে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে এভাবেই উদাহরণ দিয়ে বিজেপির সমালোচনায় মুখর হলেন তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন।
এদিকে ডেরেকের বক্তব্য কানে যেতেই পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির সায়ন্তন বসু, তাঁর মতে ইমাম ভাতা চালু করে মমতা বাঙালি হিন্দুদের চটিয়েছেন। এবার গড় রক্ষার দায়ে ফের তাদের সমর্থন ফিরে পেতে নিত্যনতুন কৌশল নিচ্ছেন।