কলকাতা: লকডাউন আবহে দুঃস্থদের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছে উত্তর মেঘবালিকা। দক্ষিণ কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাত্র। কিন্তু গত দেড় বছরে যখনই দরকার পড়েছে মানুষের প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা। সাধ্য মতো উজার করে দিয়েছে নিজেদের। গত দেড় বছর ধরেই সমাজ সেবামূলক কাজ করে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদ্যরা৷
গত বছর যখন ভারতে বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ঘোষণা হয়, তখন থেকেই দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর এলাকার প্রায় ৪০০ দুঃস্থ অসহায় মানুষের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য তুলে দিয়েছিল উত্তর মেঘবালিকা সংগঠনের সদস্যরা। আবার গত নভেম্বর মাসে আটেরশ্বরতলার প্রায় ৭০ জন অনাথ শিশুকে শীতের গরম জামা উপহার দেয় উত্তর মেঘবালিকা। এর পাশাপাশি, যাদবপুর বিজ্ঞান মঞ্চের ‘যোদ্ধাদের’ নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁদের প্রতিনিধি অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পিপিই কিট তুলে দেওয়া হয়।
চলতি বছরে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে বাংলায় কার্যত লকডাউন জারি হওয়ার পর উত্তর মেঘবালিকা ফের দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নেয়। গত ২৩ মে তারা কসবা অঞ্চলের প্রায় ৫০ জন দুঃস্থ মানুষের হাতে একমাসের রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় সংস্থার তরফে। তারা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও কিছু মানুষের হাতে আরও এক মাসের রেশন তাদের হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে সংগঠনের।
শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বিধ্বস্ত গাঙ্গেয় বঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রায় ২০০ মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। আগামী দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মানুষের অসহায়তার কথা চিন্তা করে প্রায় ৩০০ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সংগঠনের।
উত্তর মেঘবালিকা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে কবি মৃত্যুঞ্জয় রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। প্রচুর মানুষ তাদের এই উদ্যোগকে সমর্থন করে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।