বারাসত:লকডাউনে তৈরী গ্রুপ, উদ্দেশ্য ছিল পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাদেরই একটি পরিকল্পনা হাসি ফোটালো ৫০ জন কচিকাঁচার মুখে। মন ভরে শপিং আর পেট পুড়ে খাওয়া, দুটোই জমে গেলো দাদাদিদিদের সঙ্গে। সারাবছর যে শপিং মলটার সামনে দাঁড়িয়ে ছেলেটা ভাবে বাবুটা যদি দশটা টাকা দিত তাহলে খিদেটা একটু কমতো। মেয়েটা তখন ভাবে আহা দিদিটা তো একটা বিস্কুট কিনে দিলে তো ছোট ভাইটা খিদেয় ততটা কাঁদতো না।
আজ এক্কেবারে সেই শপিং মলটাতেই জামা কিনতে ঢুকে পড়েছে সেই ছে্লেটা আর সেই মেয়েটা। স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ ইয়ং জেনারশন অফ বারাসতের উদ্যোগে এই ৫০ জন পথশিশু তাদের পছন্দসই জামাকাপড় কিনলো শপিং মলে ঢুকে। পাশে থেকে ওদের জামাকাপড় পছন্দ করে দিলেন সংস্থার সদস্যরা। আদর করে একটার পর একটাই পছন্দসই জামাকাপড় প্রায় অপত্য স্নেহে মাপ দিয়ে দিয়ে দেখলেন, যেমন নিজের বাড়ির ছোটদের ক্ষেত্রে করা হয়।
শুধু কী শপিং করলেই চলবে? বাজারের সঙ্গে খাওয়া থাকবে না? জামাকাপড় কিনে কুঁচোদের ওই ভিড়টা এবার ঢুকে পড়ল ফুডকোর্টে। জমিয়ে চলল পিৎজা, বার্গার খাওয়া। গোটা একটা দিন দেদার মজা আর ভীষণ আনন্দে ভরে উঠল ওদের কচি হৃদয়গুলো। সৌজন্যে ইয়ং জেনারেশন অব বারাসতের সদস্যরা।
সদস্যরা বলছেন সমাজের ভিতরে থেকে পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগের জন্যই তাদের এই দলটি তৈরী হয়। একজন দুজন করে এখন দলে এসেছেন অনেকেই। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য কষ্টে থাকা মানুষগুলির মুখে হাসি ফোটানো। পথের ধারে ফুটে ওঠা এই নাম না জানা একেইবারে অবহেলায় বড় হতে ছোট্ট প্রজাপতিরা যখন একটু আড়ষ্টতায় অনেকটা বিস্ময়ে আর তার মধ্যে খানিকটা আনন্দে লাইন করে মলে ঢুকে নিজেদের ইচ্ছেপূরণ করছিল, কচি কচি ওই মুখের হাসিই দলের সদস্যদের মন ভরিয়ে দিচ্ছিল সত্যিই।