বোলপুর: ২০০ আসনের বেশি জিতে বাংলায় ক্ষমতা দখল করবে ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই এই দাবি করে আসছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গিয়েছে ২০০ তো দূর, ৮০ আসনের গণ্ডি পেরোতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বাংলায় বিজেপি কেন পরাজিত হলো এই নিয়ে আলোচনা সভা ডেকেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়! এই ঘটনা নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে আপাতত সভা বাতিল করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় সরাসরি আবার বিতরকের কেন্দ্রে চলে এসেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
নির্বাচন সংগঠন আবার অনেক আগে থেকেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে যে তিনি বিজেপি সমর্থক। মূলত অমর্ত্য সেনের বাড়ির ইস্যু নিয়ে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ সংঘাত লেগেছে তাঁর সঙ্গে। এবার একবার ফের বিতরকের কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল ১৮ মে, বিকেল চারটে নাগাদ। তার বিষয় ছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কেন জিততে পারল না’। এই আলোচনা সভার মূল বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগের যুগ্ম পরামর্শদাতা অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন না কেউ তাই, ভার্চুয়ালি এই আলোচনা সভায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হওয়ায় এই সভা বাতিল করা হয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন যে এই প্রথম বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এভাবে আলোচনা সভা ডাকা হয়েছিল। তাই স্বাভাবিকভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দিকে আবার বিতর্কের আঙুল উঠেছে। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে যে কোন রাজ্যের নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে। এটাতে বিতর্কের কোনো ব্যাপার নেই বলেই মনে করছে তারা।